প্রতিকার চেয়ে ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক ভুক্তভোগী
সুমন আহমেদ বিজয় ॥ লাখাইয়ে প্রশংসাপত্রের নামে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে বামৈ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে প্রতিকার চেয়ে গত ১৫ জুলাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন মোহাম্মদ মাসুক মিয়া নামে এক ভুক্তভোগী। এ ঘটনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, প্রশংসাপত্র বিতরণে টাকা নেওয়ার কোন সরকারি নির্দেশনা না থাকলেও নিয়মবহির্ভূতভাবে রশিদ না দিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা আদায় করছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীদের দাবি, লাখাই উপজেলার বামৈ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ২০২৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে প্রশংসাপত্রের জন্য ৩০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি পরীক্ষায় বামৈ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে অভিযোগকারীর মেয়ে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে কৃতকার্য হয়। অভিযোগকারীর মেয়ে কলেজে ভর্তির জন্য প্রশংসাপত্র উত্তোলন করতে বিদ্যালয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট করনিক অভিযোগকারীর নিকট ৩শ’ টাকা দাবী করেন। অভিযোগকারী কেন টাকা দিব প্রশ্ন করলে করনিক প্রধান শিক্ষকের বরাত দিয়ে টাকা না পেয়ে অভিযোগকারীর হাত থেকে প্রশংসাপত্র রেখে দেন।
অভিযোগকারী মোঃ মাসুক মিয়া জানান, প্রশংসাপত্র প্রদানের জন্য তার কাছে ৩শ’ টাকা দাবী করা হয়। তিনি প্রধান শিক্ষকের দাবিকৃত ৩শ’ টাকা দিতে না পারায় বামৈ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে তার মেয়ের এসএসসি পাশের প্রশংসাপত্র গ্রহণ করতে পারেননি। তাই এ বিষয়ে লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
বামৈ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মামুনুর রশীদ চৌধুরী প্রশংসাপত্র বাবদ ৩শ’ টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, সব বিদ্যালয়ে প্রশংসাপত্রের জন্য টাকা নেয়া হয়। আমরা শুধু একা নেইনি। আমাদের অফিসের স্টাফ বেশি। স্টাফদের বেতন দিতে হয় এবং অফিসের খরচও আছে।
লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা জানান, এ বিষয়ে আমি একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।