নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ নবীগঞ্জে পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে গরীব-অসহায়দের মাঝে চাল বিতরণকে কেন্দ্র তর্কবিতর্কের জের ধরে দুই ইউপি সদস্যের লোকজনের মাঝে ভয়াবহ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত অর্ধশতাধিক লোক আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও হবিগঞ্জ সদর হাসপাতাল সহ বিভিন্ন প্রাইভেট হসপিটাল ও ক্লিনিকে ভর্তি এবং চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। তাছাড়া আশঙ্কাজনক অবস্থায় আল আমিন নামে একজনকে সিলেট প্রেরণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত ১১ টার দিকে উপজেলার কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়নের মান্দারকান্দি গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়- বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ১২নং কালিয়ারভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে গরীব-অসহায়দের মাঝে চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে মান্দারকান্দি গ্রামের ইউপি মেম্বার আব্দুল হাই ও মহিলা মেম্বার রাহেলা বেগমের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের মাঝে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার জের ধরে রাত ১১ টার দিকে উভয়পক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় একপক্ষ অপরপক্ষের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের শতাধিক লোক আহত হয়। খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে ইউপি মেম্বার আব্দুল হাই বলেন, আমার সাথে ঈদের সরকারি বরাদ্দের চাল বিতরণ নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হঠাৎ করে মহিলা মেম্বার জুতা খুলে আমার দিকে এগিয়ে আসলে আমি তাকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়েছি। রাতে আমাদের লোকজন প্রতিবাদ করলে মহিলার লোকজন হামলা করেছে।
মহিলা ইউপি সদস্য রাহেলা বেগম বলেন, ইউপি সদস্য আব্দুল হাই একজন খারাপ চরিত্রের লোক। গতকাল চাল বিতরণের সময় সে মহিলাদের অশ্লীল ভাষায় গালাগালি করলে আমি প্রতিবাদ করি। এনিয়ে আমাকে অশ্লীল ভাষায় কথা বলে এবং আমাকে টাচ্ করলে আমি বাধ্য হয়ে তার সাথে খারাপ আচরণ করেছি। আমার আত্মীয় স্বজন বিষয়টি জানলে এনিয়ে রাতে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। মেম্বারের লোকজন আমাদের বাড়িঘরে হামলা করে ভাংচুর করেছে।
এ প্রসঙ্গে নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. মাসুক আলী বলেন- বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আমরা রাতে সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছি। এখন পর্যন্ত কোন পক্ষের লোকজন মামলা করেনি।