নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলায় বড় বোনের স্বামীর লাঠির আঘাতে মারা গেছেন ছোট বোনের স্বামী বাবলু মিয়া (২৫)। ঘটনাটি এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
শুক্রবার বিকেলে বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়নের বাগাউড়া গ্রামে জানাজার নামাজ শেষে বাবলু মিয়াকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহত বাবলু মিয়া (২৫) বাগাউড়া গ্রামের ফজল মিয়ার ছেলে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান ও পুলিশ সূত্র জানায়- বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়নের হরিনগর গ্রামের আব্দুল হামিদের বড় মেয়ে সাবিনা বেগমের বিয়ে হয় একই গ্রামের আকবর মিয়ার সঙ্গে ও ছোট মেয়ে নাঈমা বেগমের বিয়ে হয় বাগাউড়া গ্রামের বাবলু মিয়ার সঙ্গে। বাবলু মিয়া (২৫) সিলেটের জাফলংয়ে শ্রমিক হিসেবে কাজ করেন। গত মঙ্গলবার (৫ মার্চ) বাগাউড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে আসেন বাবলু। বাড়িতে এসে স্ত্রী নাঈমাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি করেন। পরে বাবলু পাশ্ববর্তী হরিনগর গ্রামে ভায়রা ভাই আকবর মিয়ার বাড়িতে যান। আকবর মিয়ার বাড়িতে তার স্ত্রী নাঈমাকে খুঁজে পান বাবলু। এসময় স্ত্রীর কাছে বাড়িতে না থাকার কারণ জানতে চান বাবলু মিয়া। এনিয়ে স্ত্রী নাঈমার সঙ্গে বাবলু মিয়ার বাকবিত-া হয়। একপর্যায়ে ভায়রা আকবর মিয়ার সঙ্গেও বাকবিত-ায় জড়ান বাবলু।
এসময় ভায়রা আকবর মিয়া লাঠি দিয়ে বাবলুর মাথায় আঘাত করলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। এ অবস্থায় স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার ভোরে বাবলু মিয়া মৃত্যুবরণ করেন। শুক্রবার দুপুরে সিলেটে ময়নাতদন্ত শেষে বাবলু মিয়ার মরদেহ নিয়ে আসা হয় গ্রামের বাড়িতে। বিকেলে জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
এ প্রসঙ্গে বড় ভাকৈর পূর্ব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার মিয়া ছুবা বলেন- কয়েকদিন আগে আকবর মিয়া ও বাবলুর মধ্যে ঝামেলা হয়, এসময় আকবর লাঠি দিয়ে বাবলুর মাথায় আঘাত করলে বাবলু গুরুতর আহত হয়। পরে বাবলুকে সিলেট হাসপাতালে ভর্তি করা হলে শুক্রবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবলু মারা যায়।
নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. মাসুক আলী বলেন- গত ৫ মার্চ দুই ভায়রা ভাইয়ের মধ্যে পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে মারধরের ঘটনা ঘটে। এতে বাবলু মিয়া গুরুতর আহত হয়, শুক্রবার ভোরে সিলেটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবলু মিয়া মারা যায়। ওসি বলেন- এ ঘটনায় অভিযোগ পাবার পর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।