স্টাফ রিপোর্টার ॥ চুনারুঘাটে গরু চুরির অপবাদে দুই শিশুকে গাছের সাথে বেঁধে বেধড়ক পিঠিয়েছেন ইউপি সদস্যসহ গ্রাম্য মাতব্বররা। এ ঘটনায় ইউপি সদস্যসহ দু’জনকে গ্রেফতার করেছে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (৮ মার্চ) দুপুরে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য মোছা. মমিনা খাতুন ও একই ইউনিয়নের বনগাঁও গ্রামের আব্দুল কুদ্দুছের ছেলে আব্দুর রউফ। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের বিরুদ্ধে নির্যাতিত শিশুদের নানী আনোয়ারা খাতুন বাদী হয়ে ইউপি সদস্য মমিনা খাতুনসহ ৫ জনের নাম উল্লেখ করে চুনারুঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কালিশিরি গ্রামের মৃত কন্টু মিয়ার ছেলে নুর ইসলাম (১০) ও আব্দুল হাকিমের ছেলে তোফাজ্জল (৮) একই মা তাসলিমা খাতুনের সন্তান। বাবা ভিন্ন হলেও তারা সহোদর। দুই সন্তানকে নিয়ে তাসলিমা তাদের নানী বাড়িতে থাকতেন। সম্প্রতি জীবিকার সন্ধানে তাসলিমা সৌদি আরব পাড়ি জমান। গত ৪ মার্চ বিকেলে কালিশিরি গ্রামের জোবায়ের নামে এক যুবক শিশু নুরুল ও তোফাজ্জলকে মাঠ থেকে গরু চুরির অভিযোগে ধরে এনে বাড়ির একটি গাছের সাথে বেঁধে রাখে। এ সময় ঘনশ্যামপুর গ্রামের সাজল মিয়া, বনগাঁও গ্রামের আব্দুর রউফ, ইউপি সদস্য মমিনা খাতুনসহ ৭/৮ জন মিলে শিশু দু’টিকে বেধড়ক মারধর করে।
চুনারুঘাট থানার ওসি হিল্লোল রায় জানান, ঘটনাটি ৪ মার্চ ঘটলেও পুলিশকে কেউ জানায়নি। বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নির্যাতনের ভিডিও প্রচার হলে বিষয়টি পুলিশের নজরে আসে। রাতেই ঘটনার সাথে জড়িত দুজনকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় নির্যাতিত শিশুর নানী আনোয়ারা খাতুন বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও ৩ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন। দু’জনকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। জড়িত অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
স্থানীয় মেম্বার শেখ আঃ ছত্তার দুঃখ প্রকাশ করে বলেন- শিশুরা অপরাধ করলে শিশু আইন ছিলো কিন্তু শিশুদেরকে চোর আখ্যা দিয়ে বেঁধে রাখা ঠিক হয়নি।