কামরুল হাসান ॥ চরম জনবল সংকটে চলছে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস। গত ৫ মাস আগে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মজিবুর রহমান অন্যত্র বদলীয় হয়ে যাওয়ায় অফিস সামলাচ্ছেন অফিস সহায়ক মোঃ ছুরত আলী। কারণ অফিস সহায়ক ছাড়া আর কোনো কর্মকর্তা বা কর্মচারী নেই এখানে। ৬টি পদের মধ্যে ৫টি পদই শূণ্য রয়েছে। শুণ্যপদগুলো হলো- শিক্ষা অফিসার ছাড়াও সহকারি শিক্ষা অফিসার, হিসাবরক্ষক, অফিস সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর ও নৈশপ্রহরী। একজন একাডেমিক সুপারভাইজার অন্য উপজেলা থেকে প্রেষণে গিয়ে কাজ করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, অফিসের সকল দাপ্তরিক কাজ অফিস সহায়ক একাই সামলাচ্ছেন। এতে স্কুল-কলেজের প্রধানরা অফিসিয়াল কাজে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন। পাশাপাশি উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তদারকি ও দাপ্তরিক কার্যক্রম চরমভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৩ নভেম্বর মোঃ মজিবুর রহমান প্রথম উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদান করেন। তিনি দাপ্তরিক কাজ করার জন্য অফিস না থাকায় বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের লাইব্রেরী কক্ষ সংস্কার করে তৈরি করেন শিক্ষা অফিস। একাই পুরো উপজেলায় মাধ্যমিক শিক্ষা নিয়ে কাজ করছিলেন। পরবর্তীতে অন্যত্র থেকে প্রেষণে গিয়ে কাজ করেন একাডেমিক সুপারভাইজার জগদিশ দাশ। ২০২০ সালের ২৫ অক্টোবর থেকে অফিস সহায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন ছুরত আলী। ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট শিক্ষা অফিসার বদলী হন সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার উপজেলায়। তাই গত ৫ মাস যাবত অফিস সহায়ক একাই সামলাচ্ছেন শিক্ষা অফিস।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বলেন, বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে গেলে জনবল সংকটের অজুহাতে ফিরে আসতে হয়। এতে করে নানা দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
জনৈক প্রধান শিক্ষক বলেন, শিক্ষা অফিসে পর্যাপ্ত জনবল না থাকায় প্রতিষ্ঠানের জরুরি কাজ করতে খুবই সমস্যায় পড়তে হয়। সময়মতো কাজ হয় না।
শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, শিক্ষা অফিসে কাজকর্ম বেড়েছে। বিজ্ঞান মেলা, ক্রীড়া অনুষ্ঠান, ইউনিক আইডি তৈরি, প্রশিক্ষণ, চিঠিপত্র বিলি, বই বিতরণ, বিল তৈরি, প্রতিষ্ঠানের তথ্যসহ সকল কাজ স্তবির হয়ে যাচ্ছে অফিসে লোকবল না থাকায়।
জেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ রুহুল্লা বলেন- শুধু শায়েস্তাগঞ্জ নয়, বাহুবল ও লাখাই উপজেলায়ও শিক্ষা অফিসার নেই। ফলে শিক্ষাসেবা কিছুটা হলেও স্তবিরতা দেখা দেওয়াটাই স্বাভাবিক। তাই তিনি নিজেই তিনটি উপজেলায় অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।