অবচেতন অবস্থায় পরিচিত মাওলানার ওয়াজ শুনে ফয়সল মিয়া হাজির হন ওয়াজে
চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাটের বনগাঁও গ্রামের অপহৃত ব্যবসায়ী ফয়সলকে সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং সীমান্ত এলাকা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে সীমান্তের ছৈলারখাল গ্রামে ওয়াজ মাহফিলের কাছে তাকে অবচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় তাকে। খবর পেয়ে অপহৃত ফয়সল মিয়ার ভাই মিজানুর রহমান মিজান তাকে উদ্ধার করে চিকিৎসা শেষে বাড়ি নিয়ে আসেন। অপহরণকারীরা তাকে অপহরণের পর তার কাছে থাকা নগদ প্রায় এক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয় বলে অপহৃত ফয়সল জানিয়েছেন।
উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের একই এলাকার মুফতি মাওলানা হাফিজ আহমেদ শাফি মঙ্গলবার রাত ১০ টায় সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার জাফলং ইউনিয়নের চৈলারখাল এলাকায় একটি ওয়াজ মাহফিলে ওয়াজ করেন। ওয়াজ শেষের দিকে সেখানে গিয়ে হাজির হন অপহৃত ব্যবসায়ী ফয়সল মিয়া। মাওলানা শাফি তাকে চিনতে পেরেই জড়িয়ে ধরেন এবং সে এখানে কেন জানতে চান। তখন ফয়সল অসংলগ্ন কথাবার্তা বলতে থাকে এবং সে জানায় মাওলানা শাফির কন্ঠ চিনতে পেরে এখানে হাজির হয়েছে। সাথে সাথে মাওলানা সাফি তার ভাই মিজানকে ফোন করে ফয়সলকে পাওয়ার কথা জানান। খবর পেয়ে ভোর ৫টার দিকে মিজানসহ কয়েকজন সেখানে উপস্থিত হয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে নিয়ে আসেন। পরে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বিকেলে চুনারুঘাট নিয়ে আসা হয়।
উদ্ধার হওয়া ফয়সল কিভাবে সেখানে গেছে তা বলতে পারছে না। সে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলছে। তবে মঙ্গলবার দুপুরে অপহরণকারীরা তার মোবাইলে বিকাশে থাকা সাড়ে ৩ হাজার টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছে বলেও জানান তিনি। এর আগে তার কাছে থাকা প্রায় এক লাখ টাকাও অপহরণকারীরা নিয়ে গেছে। পরে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে ওই এলাকায় ছেড়ে দেয়।
উপজেলার বনগাঁও গ্রামের হাজী ইদ্রিছ আলীর ছেলে ফয়সল মিয়া গত ২৪ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বের হয়ে গেলে আমুরোড বালুমহাল এলাকা থেকে অপহরণ হয়। এনিয়ে চুনারুঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করা হয়। ফয়সল স্থানীয় ভাবে লিভার ব্রাদার্স এর পণ্যের ডিলার ব্যবসার সাথে জড়িত। ধারণা করা হচ্ছে টাকার জন্যই তাকে অপহরণ করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট থানার ওসি (তদন্ত) প্রজিত কুমার দেব জানান, ফয়সল উদ্ধার হওয়ার খবর জানতে পেরেছেন। তবে বিস্তারিত তিনি জানাতে পারেননি।