সুমন আহমেদ বিজয় ॥ লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসক, নার্স ও জনবল সংকটের কারণে স্বাস্থ্য সেবা ব্যাহত হচ্ছে। লক্ষাধিক মানুষের স্বাস্থ্য সেবার ভরসাস্থল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রতিনিয়ত বঞ্চিত হচ্ছেন সেবা গ্রহীতা জনগণ।
লাখাই উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের হাজার হাজার সেবা প্রত্যাশী বঞ্চিত হচ্ছেন তাদের কাক্সিক্ষত সেবা থেকে। ২০২৩ সালের ২৭ জুলাই থেকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যাত্রা শুরু হয় ৩১ শয্যা হাসপাতালের ৬০ পার্সেন্ট জনবল নিয়ে। অপারেশন থিয়েটার চালু থাকলেও ১ জন গাইনী বিশেষজ্ঞ ও ১ জন সার্জারী বিশেষজ্ঞ কনসালটেন্ট না থাকায় অপারেশন থিয়েটারে অপারেশন কার্যক্রম শুরু করা যাচ্ছে না। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন না হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে উপজেলার হাজার হাজার সেবা প্রত্যাশীর।
সূত্রে জানা যায়, ডাঃ অমিত রায় ২০১৩ সাল থেকে প্রায় ১১ বছর, ডাঃ রেজাউল ইকরাম ২০১৩ সাল থেকে প্রায় ১১ বছর ও ডাঃ নাহিদ চৌধুরী সুমন ২০১৯ সাল থেকে প্রায় ৪ বছর অনুমতি বিহীন কর্মস্থলে অনুপস্থিত। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাগজে কলমে ২০ জন নার্স থাকলেও বর্তমানে কর্মরত আছেন ১৬ জন। ২ জন অনুমতি বিহীন কর্মস্থলে অনুপস্থিত ও ২ জন লিয়েনে বাংলাদেশের বাহিরে আছেন।
ওয়ারিস মিয়া নামে এক ব্যক্তি জানান- উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোন পরীক্ষা করা যায় না। কোন পরীক্ষা করতে হলে বাহিরে করতে হয়।
লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কাজী সামছুল আরেফিন জানান- লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ১০ জন ডাক্তার প্রয়োজন। বর্তমানে আছেন ২ জন এবং ৩ জন ডাক্তারকে সাব সেন্টার থেকে আনা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন- লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বর্তমানে নার্স সংকট আছে ও ৩৫ পার্সেন্ট জনবল সংকট আছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে ৩ বার চিঠি দিয়েছি।