বিকাশে টাকা পাঠানো ব্যক্তিকে সনাক্তের চেষ্টা করছে পুলিশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ সদর উপজেলার নিজামপুর ইউনিয়নের চক্রমোহনা গ্রামে জেসমিন আক্তার (২০) নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। সে ওই গ্রামের হাফেজ আরজু মিয়ার কন্যা। গত বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পরিবারের লোকজন তাকে গালমন্দ করলে সে অভিমানে ঘরের ভেতরে তীরের সাথে উড়না পেঁচিয়ে ফাঁস দেয়। তার ভাই দরজা ভেঙ্গে তাকে নামিয়ে সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করে।
জানা যায়, এর আগে বিকালের দিকে সুকড়িপাড়া বাজারে আমির আলীর দোকানে জেসমিন অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে বিকাশের মাধ্যমে ১ হাজার ২০ টাকা দিতে যায়। তখন দোকান মালিক টাকা না ছেড়ে আগে টাকা চাইলে জেসমিন চলে আসে। পরে জেসমিন একই বাজারে হাসান মিয়ার দোকানে বোরকা পরিহিত অবস্থায় যায় এবং ওই ব্যক্তির কাছে ১ হাজার ২০ টাকা ছাড়ার পর দোকান মালিক তার কাছে টাকা চাইলে সে দৌড়ে চলে আসে। এ সময় ওই দোকান মালিক তার পরিচয় জানতে চাইলে লোকজন জানায়, সে আরজু মিয়ার কন্যা। তখন জেসমিনের চাচা সমসু মিয়া এসে টাকা পরিশোধ করেন।
স্থানীয়দের ধারণা, এ বিষয় নিয়েই হয়তোবা পরিবারের সদস্যরা তাকে গালমন্দ করায় সে এমন কা- ঘটিয়েছে। এলাকাবাসীর দাবি যে নম্বরে টাকা পাঠিয়েছে এ লোককে ধরতে পারলেই জেসমিনের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হবে।
এদিকে গতকাল বিকালে ময়নাতদন্ত শেষে জেসমিনের লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাপন করা হয়। এসআই আব্দুল মন্নান জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে আত্মহত্যা। জেসমিনের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। যে নম্বরে টাকা পাঠানো হয়েছে তাকে সনাক্তের চেষ্টা চলছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে। তার এমন মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।