নিজস্ব প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের বড়কোটা এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ৫টি পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়েছে। ফলে পরিবার পরিজন নিয়ে তারা মানবেতর জীবনযাপন করছেন। সমাজচ্যুত করার কারণে ওই পরিবারগুলো রাস্তাঘাটে বের হতে গেলে নানাভাবে অপমানিত হচ্ছেন। তারা টাকা দিয়েও পাচ্ছেন না শ্রমিক। এজন্য জমির ধান কাটা ব্যাহত হচ্ছে। শুধু তাই নয়, টিউবওয়েলে পানি সংগ্রহ করা, গোসল করাসহ ওই পরিবারের অনেক শিক্ষার্থী স্কুলে আসা যাওয়া করতে নানা প্রতিবন্ধকতার শিকার হচ্ছেন।
জানা যায়, ওই গ্রামের আলমগীর মিয়া ওরফে এখলাছের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে একই গ্রামের তাজ উদ্দিন ও আমির মিয়ার। এ নিয়ে মামলা মোকদ্দমা রয়েছে। বিষয়টি সমাধানের লক্ষে একাধিকবার সালিশ হয়। কিন্তু সমাধান না হওয়ায় গ্রামের মাতব্বর পঞ্চায়েত প্রধান ভিংরাজ মিয়ার সভাপতিত্বে কবির মিয়া, মরতুজ আলী, সফিক মিয়া, উস্তার মিয়া, জুয়েল মিয়া, তোফায়েল, কাদির মিয়া, মানিক মিয়া, আওয়াল হাজী, ওয়াহিদ মিয়ার উপস্থিতিতে সম্প্রতি সালিশ বিচার হয়। সালিশ বিচারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সভাপতি ভিংরাজ মিয়া এখলাছ মিয়াসহ ৫ পরিবারকে সমাজচ্যুত ঘোষণা করেন।
তবে সমাজচ্যুত করার বিষয়টি সত্য নয় দাবি করে ভিংরাজ মিয়া বলেন, এখলাছ মিয়া, ফারুক মিয়া, ছালেক মিয়াসহ তার আত্মীয়রা সালিশ বিচার মানে না। ওই ৫ পরিবারের সাথে আমাদের পঞ্চায়েতের লোকজনকে সম্পর্ক না রাখতে বলা হয়েছে।
মুরুব্বি উস্তার মিয়া বলেন, সমাজচ্যুত করার বিষয়টি সঠিক নয়। তাদের সাথে শুধুমাত্র পঞ্চায়েতের লোকজনকে চলাচল না করতে বারণ করা হয়েছে। মুরুব্বী কবির মিয়া বলেন, সমাজচ্যুত করার বিষয়টি সঠিক নয়। আমি চেষ্টা করেছি উভয়পক্ষকে মিলিয়ে দেয়ার। উবাহাটা ইউপি চেয়ারম্যান এজাজ ঠাকুর জানান, বিষয়টি শুনেছি। খবর নিয়ে প্রায়াজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিদ্ধার্থ ভৌমিক জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে লিখিত অভিযোগ পেলে জরুরিভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ বিষয়ে সরেজমিন কথা বলে জানা গেছে, বর্তমানে ওই পরিবারগুলো মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তারা প্রশাসনের কাছে এর সুবিচার কামনা করেছেন।