দৈনিক প্রথম আলোয় প্রকাশিত ‘ভয়ের রাজত্ব কায়েম করেছেন জাহির’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত দাবি করেছেন হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আতাউর রহমান সেলিম। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগের ঐক্যের প্রতীক। অথচ প্রথম আলোর মতো একটি পত্রিকা তাঁর জনপ্রিয়তাকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে সংবাদ করেছে। নির্বাচন মৌসুমে এমন একটি দায়িত্ব জ্ঞানহীন সংবাদ প্রমাণ করে, কারও এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে।
এমপি আবু জাহিরের বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে জেল-জুলুম অত্যাচার এবং আওয়ামী লীগের জন্য ত্যাগের কথা উল্লেখ করে মেয়র বলেন, নির্বাচন মৌসুমে হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র এবারই প্রথম নয়, আরও অনেকবার হয়েছে। তবে প্রতিবারই সত্য এবং সুন্দরের বিজয় হয়েছে। আওয়ামী লীগের কান্ডারী বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আদেশ অমান্যকারী এবং স্থানীয় নির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে এমন বিপথগামী গুটি কয়েক কর্মী হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগে ফাঁটল ধরাতে চায় এবং এর অংশ হিসেবে তারা মিথ্যা তথ্য সাংবাদিকদের দিয়েছে উল্লেখ করেন তিনি।
আতাউর রহমান সেলিম বলেন, ছাত্রলীগ থেকে শুরু করা আমার রাজনৈতিক জীবনে মিথ্যা মামলায় বারবার জেল খেটেছি। দলের জন্য কাজ করতে গিয়ে অনেকবার শরীর থেকে রক্ত ঝড়েছে। দীর্ঘ ত্যাগ-তীতিক্ষার পর নেত্রীর দেয়া নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়ে হবিগঞ্জ পৌরবাসী আমাকে তাঁদের কাজ করার দায়িত্ব দিয়েছেন। আমার দলীয় পদ এবং জনপ্রতিনিধি হওয়া আওয়ামী পরিবার এবং জনগণের ভালবাসায়। মিথ্যা তথ্য প্রচার করে এই ভালবাসা কমানো যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগে নৌকার মাঝি নির্ধারণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মনোনয়ন প্রদানের আগেরদিন এভাবে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে আওয়ামী লীগের এবং নৌকা প্রতীকের ক্ষতি করা যাবে না। সত্যের জয় হবে ইনশাল্লাহ।
তিনি আরও বলেন, ২০ বছর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম। জামায়াত-বিএনপির মিথ্যা মামলা মোকাবিলা করেছি ২৫টি। ১৫ মাস জেল খেটেছি। একটি মিথ্যা মামলায় ৩ বছরের সাজাও দেয়া হয়। এত কিছুর পর প্রধানমন্ত্রী আমাকে ২০১৫ সালে প্রথমবার নৌকা দিয়েছিলেন। তিনি আমার কাজের মূল্যায়ন করেছেন। এরশাদ বিরোধী আন্দোলন এবং জনগণের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে আমরা এমপি আবু জাহিরের নেতৃত্বে শরীরের রক্ত দিয়েছি, বার বার জেল খেটেছি। রাজনৈতিক নির্যাতন এবং গ্রেনেড হামলার শিকার হয়েছেন এমপি আবু জাহির। তিনি নিরাপরাধ হওয়া সত্ত্বেও জেল খেটেছেন। আর এখন আওয়ামী লীগের খাতায় নাম লেখিয়ে সুবিধাভোগীরা সাংবাদিককে মিথ্যা তথ্যের যোগান দিয়ে মুখরোচক গল্প সাজিয়েছে। তারা রাজনীতির মাঠে নেই। দলের জন্য তাদের কোন ত্যাগও নেই। তারা বিভিন্ন নির্বাচনে নৌকার বিরোধীতা করে। বিদ্রোহী হয়ে নির্বাচন করে। এটিই তাদের চরিত্র।
মেয়র সেলিম বলেন- মিথ্যা অপপ্রচারে হবিগঞ্জের জনগণ কর্ণপাত করে না। বানোয়াট তথ্য সাপ্লাই দিয়ে সত্য গোপন করা যায় না। হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে কারা হাল ধরে তা জেলাবাসী জানেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি