মাধবপুর প্রতিনিধি ॥ হবিগঞ্জের মাধবপুরে একটি সরকারি পুকুর দীর্ঘদিন যাবত নিজের নামে নিয়ে মাছ চাষ করছেন একজন বিত্তশালী ব্যক্তি। মাধবপুর পৌর শহরে ওই ব্যক্তির নামে বাসা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থাকলেও তিনি বছরের পর বছর একটি সরকারি পুকুর ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করছেন। দীর্ঘদিন যাবত এক ব্যক্তির নামে লিজ হওয়ায় সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব।
নিয়ম অনুযায়ী নিবন্ধিত মৎস্য সমবায় সমিতির নামে সরকারি জলাশয় (পুুকুর, ডোবা) নিলাম দেওয়ার নিয়ম থাকলেও মাধবপুরে একটি পুকুর বছরের পর বছর লিজ দেওয়া হচ্ছে একজন ব্যক্তির নামে।
বিষয়টি প্রকাশ হলেও একটি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির নামে লিজ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন বিমল চন্দ্র দাস নামে এক ব্যক্তি।
বিভিন্ন নথিপত্র ঘেঁটে দেখা যায়, মাধবপুর উপজেলার পূর্ব মাধবপুর মৌজার ১ নং সরকারি খাস খতিয়ানের ৮০৩ দাগের মাধবপুর পৌর শহরের কাচারি ভূমি অফিস সংলগ্ন ৬.৬৪ একর দিঘি/পুকুরটি দীর্ঘদিন যাবত লিজ নিয়ে মাছ চাষ করছেন মাধবপুর বাজারের বাসিন্দা কাজী আক্তার উদ্দিন। ২০১২ সালে ৫ বছরের জন্য মাত্র ৫৬ হাজার ২শ ৯৪ টাকা (ভ্যাট সহ) দিয়ে দিঘি/ পুকুরটি ইজারা নেন কাজী আক্তার উদ্দিন। চুক্তিপত্রে সরকার পক্ষে স্বাক্ষর করেন তৎকালিন মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও লিজ গ্রহীতা হিসাবে স্বাক্ষর করেন কাজী আক্তার উদ্দিন। যার স্মারক নং- ০৫.৬০.৩৬০০.১৮.০৬.১৯৫.১২-১২১৭।
কাজী আক্তার উদ্দিন দীর্ঘদিন যাবত নিজের নামে পুকুরটি ইজারা নিয়ে মাছ চাষ করে যাচ্ছেন। এত বিশাল পুকুরটি নাম মাত্র মূল্যে ইজারা দেওয়ায় একদিকে সরকার হারাচ্ছে মোটা অংকের রাজস্ব অন্যদিকে প্রকৃত মৎস্য চাষিরা লিজ পাওয়া থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে কাজী আক্তার উদ্দিনের সঙ্গে তার মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, তিনি জেলা প্রশাসক(ডিসি) থেকে পুকুরটি লিজ নিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী তিনি সরকার নির্ধারিত ফি দিয়ে পুকুরটি ইজারা নেন।