স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকা নাদিরা আক্তারের অনিয়ম ও শৃঙ্খলা বহির্ভূত কর্মকান্ডে অতিষ্ঠ সেবা নিতে আসা রোগী সহ কর্মকর্তা ও সহকর্মীরা। কখনো নিজে মানুষকে অপমান অপদস্ত করেন আবার কখনো তার স্বামীকে দিয়ে অপদস্ত করান। এ নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীরা চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলছেন, এখানে গেলেই নাদিরা আক্তার সেবার বিনিময়ে জোর করে টাকা আদায় করেন। কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর চড়াও হন।
সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালে হবিগঞ্জ মাতৃমঙ্গলে কর্মরত থাকা অবস্থায় স্টাফ ও রোগীদের সাথে অসদাচরণের অভিযোগ এনে স্টাফরা তার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিলে কর্তৃপক্ষ তাকে শস্তিমূলক সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুরে বদলী করেন। সেখানেও তার বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও কর্মস্থলে অনুপস্থিতির অভিযোগ উঠে। ২০২১ সালে নাদিরা সিলেটের বিভাগীয় পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা বরাবরে অসদাচরণ ও রোগীদের সাথে দুর্ব্যবহার করবেন না মর্মে মুচলেকা দেন। এ প্রেক্ষিতে তাকে হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে বদলী করলেও নাদিরা প্রেষনে পুুনরায় চলে আসেন হবিগঞ্জ মাতৃমঙ্গলে। এসেই আবার সেই আগের চেহারায় চলে যান। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মাতৃমঙ্গলে আসা রোগীদের জোরপূর্বক প্রাইভেট ক্লিনিকে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
মনিকা রাণী নামে এক রোগী জানান- আমি মাসিক নিয়মিত করণের জন্য মাতৃমঙ্গলে এসেছিলাম, তখন নাদিরা নার্স আমার কাছে তিন হাজার টাকা দাবি করেন। পরে আমি দুই হাজার টাকা দেই। তিনি আমাকে অফিসের কাগজে ঔষধ না লিখে সাদা কাগজে লিখে দেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে তার সিনিয়র সহকর্মীরা জানান, সে অফিসে আসলেই একটা আতংক। সবার সাথে ঝগড়াঝাটিতে লিপ্ত থাকে। সহকর্মী ও স্টাফদের ভয় দেখাতে সে তার স্বামীকে নিয়ে আসে মাতৃমঙ্গলে। তার স্বামী গিয়ে হুমকি দেয় স্টাফ ও কর্মকর্তাদের। স্বামী-স্ত্রীর হুমকিতে তটস্থ থাকেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের উপ-পরিচালক মীর সাজেদুর রহমান জানান- বিষয়টি আমি শুনেছি, উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করব।
জানা যায়, নাদিরার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে মাতৃমঙ্গলের স্টাফরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
এ ব্যাপারে পরিদর্শিকা নাদিরা আক্তারের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।