জেলা বিএনপির ১৫টি ইউনিট নেতৃবৃন্দের বিবৃতি
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং টানা ৩ বারের নির্বাচিত হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছের মুক্তির দাবী জানিয়েছেন হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির অধীনস্থ ৯টি উপজেলা ও ৬টি পৌর বিএনপি বিএনপির নেতৃবৃন্দ।
গতকাল সংবাদপত্রে প্রেরিত এক বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন- ষড়যন্ত্র করে হবিগঞ্জবাসীর হৃদয় থেকে জি কে গউছের নাম মুছে ফেলা যাবে না। সকল ধর্ম-বর্ণ ও দল মতের উর্ধ্বে উঠে জনসেবা আর ভালোবাসা দিয়ে জি কে গউছ মানুষের হৃদয় জয় করেছেন। যার প্রমাণ হবিগঞ্জবাসী ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ পৌর নির্বাচনে দিয়েছেন। সকল রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে হবিগঞ্জ পৌরবাসীর ভোটে তিনি কারাগার থেকে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন- সম্পূর্ণ রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় ষড়যন্ত্রমুলকভাবে ২০১৪ সালে সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার ৪র্থ সম্পূরক চার্জশীটে জি কে গউছকে আসামী শ্রেণীভুক্ত করা হয়। তিনি স্বেচ্ছায় আদালতে আত্মসমর্পণ করে কারাগারে যান। তিনি উচ্চ আদালত থেকে জামিন লাভ করলেও সুনামগঞ্জে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলার মামলায় শ্যোন এরেস্ট দেখিয়ে কারাগারে আটকে রাখা হয়। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা সফল হয়নি। জি কে গউছের জনপ্রিয়তায় চির ধরাতে পারেনি। হবিগঞ্জের মানুষ জি কে গউছকে ভুলে যায়নি। ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জ পৌর নির্বাচনে সিলেট কারাগার থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন জি কে গউছ। সকল ধর্ম-বর্ণ ও দল মতের উর্ধ্বে উঠে জি কে গউছের পাশে দাঁড়ায় হবিগঞ্জের মানুষ। যে নির্বাচনে জি কে গউছের পক্ষে কোনো প্রচারণা ছিল না, ভোট কেন্দ্রে কোনো এজেন্ট ছিল না। সকল প্রতিকূল পরিস্থিতি উপেক্ষা করে পৌরবাসীর ভোটে তিনি কারাগার থেকে মেয়র নির্বাচিত হয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আবারও সেই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। নির্বাচন এবং জনগণের কাছ থেকে দূরে রাখতে জি কে গউছের বিরুদ্ধে একের পর এক ষড়যন্ত্র হচ্ছে। মিথ্যা ও কাল্পনিক অভিযোগ এনে মামলা দেয়া হচ্ছে, গুম করার চেষ্টা হচ্ছে। তাঁর বাসভবন ও দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা হামলা করেছে। জি কে গউছকে হত্যার উদ্দেশ্যে পুলিশ তার বাসভবনে প্রবেশ করে ব্যাপক গুলি বর্ষণ করেছে। এরআগে হবিগঞ্জ কারাগারে জি কে গউছকে প্রাণে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে জি কে গউছকে জনগণের কাছ থেকে আলাদা করা যাবে না, নির্বাচনের বাহিরে রাখা যাবে না। সকল ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করেই জনগণের জি কে গউছ জনগণের মধ্যেই ফিরে আসবে-ইনশাআল্লাহ। আমরা কারাবন্দি জি কে গউছের মুক্তির দাবী জানাই।
বিবৃতিদাতারা হলেন- হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক অধ্যাপক এনামুল হক, চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপি সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সভাপতি তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর বিএনপি সভাপতি ফরিদ আহমেদ অলি, চুনারুঘাট পৌর বিএনপির সভাপতির আলহাজ্ব হোসাইন আলী রাজন, বাহুবল উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফেরদৌস আহমেদ চৌধুরী তুষার, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক সরফরাজ চৌধুরী, নবীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক ছালিক আহমেদ চৌধুরী, বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি মুজিবুল হাসান মারুফ, আজমিরীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এড. হাবিবুর রহমান সওদাগর, আজমিরীগঞ্জ পৌর বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহমেদ জনফুল, মাধবপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি শামছুল ইসলাম কামাল, মাধবপুর পৌর বিএনপির সভাপতি মোঃ আব্দুল আজিজ, সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, লাখাই উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতির শেখ মোঃ ফরিদ মিয়া, হবিগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদকর এস এম আওয়াল, শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ আবু তাহের, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আব্দুল মজিদ, লাখাই উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. শামছুল ইসলাম, চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. মীর সিরাজ আলী, চুনারুঘাট পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক দিদার হোসেন, বাহুবল উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাজী শামছুল আলম, নবীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মুজিবুর রহমান সেফু, নবীগঞ্জ পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল আলিম ইয়াসিনি, বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নকীব ফজলে রকীব মাখন, আজমিরীগঞ্জ পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ শামছুল আলম, আজমিরীগঞ্জ পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদুর রশিদ ঝলক, মাধবপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হামিদুর রহমান হামদু ও মাধবপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাাদক আলাউদ্দিন আল রনি।