যারা অবৈধভাবে খালের মাঝে বাঁধ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ॥ মেয়র সেলিম
হবিগঞ্জ শহরের পানি নিস্কাশনে অন্যতম মাধ্যম রিচি ইউনিয়নের জালালাবাদ রোডের পাশের খালে বার বার বাঁধ দেয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। পৌরসভা সুত্র জানিয়েছে- বিগত তিন মাস পূর্বে অতিবৃষ্টির সময় শহরের জলাবদ্ধতা দূর করতে জালালাবাদ রোডের পাশের খালে প্রতিবন্ধকতা অপসারণ করেছিলেন মেয়র আতাউর রহমান সেলিম। মেয়রের উপস্থিতিতে ওই সময় খালে আড়াআড়ি অবৈধভাবে দেয়া বাঁধগুলো কেটে দেয়া হয়। ফলে শহরের পানি দ্রুতবেগে নিস্কাশন হয়।
পৌরসভা সুত্র আরও জানায়, এরই মধ্যে আবারো জনৈক সাজন এবং আক্তার নামের দু’ব্যক্তি মাটি ভরাটের ব্যবসা করতে গিয়ে এই খালে আড়াআড়ি বাঁধ দেয়। মাটি ভর্তি ট্রাক্টর পারাপার করতে তারা এই বাঁধগুলো দেয়। গত ৫ অক্টোবর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে ব্যাপক বৃষ্টিপাত হওয়ায় শহরের অধিকাংশ স্থানে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। মানুষের বাড়ী ঘরে পানি প্রবেশ করে। অনেকেই পানির কারণে ক্ষয়ক্ষতির সম্মূখীন হন। শুক্রবার সকালে পৌরসভার পাচঁটি টিম জলাবদ্ধতা নিরসনে কাজ করে। ওই সময় দেখা যায়, জালালাবাদ রোডের পাশে যে খাল রয়েছে তাতে বাঁধ দিয়ে খালের গভীরতা কমিয়ে দেয়া হয়েছে। ওই সময় পৌরসভার টিমের তাৎক্ষনিক অভিযানে খাল উন্মুক্ত করে দেয়া হলে পানি নিস্কাশন তরান্বিত হয়।
মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বলেন, তিন মাস পূর্বে যে খালটি আমি নিজে উপস্থিত থেকে উন্মুক্ত করে দিলাম, সেটিতে পুনরায় বাঁধ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা দুঃখজনক। তিনি বলেন, ব্যবসা করতে গিয়ে খালে মাটি ফেলে গভীরতা কমিয়ে ফেলছে একটি মহল। ফলে শহরের পানি নিস্কাশন হতে কিছুটা বেশী সময় লাগছে। এই প্রতিবন্ধকতা না থাকলে পানি আরো দ্রুততম সময়ের মাঝে নিস্কাশন হবে। যারা অবৈধভাবে খালের মাঝে বাঁধ দিয়ে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মেয়র আতাউর রহমান সেলিম ড্রেনে ময়লা আবর্জনা না ফেলার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান। বিজ্ঞপ্তি