সংঘর্ষে আক্রমণের শিকার হয়ে অন্ধ ৩ জনকে চিকিৎসা বাবদ ১২ লাখ টাকা দিবেন হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া এবং ধন মিয়ার ভাই চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সেরুজ্জামান বাচ্চু মিয়ার চিকিৎসায় ৩ লাখ টাকা দিবেন প্রতিপক্ষ অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান ॥ আগামী ২১ অক্টোবর ছান্দ সর্দার নিয়োগ করবে ১৩ সদস্যের কমিটি

আক্তার হোসেন আলহাদী ॥ হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার সৈদ্যারটুলা সাত মহল্লা ছান্দের দীর্ঘদিনের বিরোধ সালিশে নিস্পত্তি হয়েছে। অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি’র সভাপতিত্বে ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন খানের সঞ্চালনায় শনিবার সকাল ১০টায় বানিয়াচং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এ সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
সালিশে উল্লেখযোগ্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ইউএনও পদ্মাসন সিংহ, থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ দিলোয়ার হোসেন, ১নং ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান, সাবেক চেয়ারম্যান গিয়াস উদ্দিন, মাওলানা ফজলুর রহমান খান, মাওঃ আব্দুল ওয়াদুদ, মাওঃ আব্দুল হোসেন খান, মুফতি আতাউর রহমান, বিএনপির সভাপতি মুজিবুল হক মারুফ, বড় বাজার সভাপতি জয়নাল মিয়া প্রমুখ। পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও মোনাজাতের মাধ্যমে সালিশ বৈঠক শুরু করা হয়।
সালিশের শুরুতে সূচনা বক্তব্য প্রদান করেন এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান। তিনি প্রতিপক্ষ দুই গ্রুপের হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া ও অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খানসহ উভয় গ্রুপের আরো ৪ জন করে বক্তব্য শোনার পর উপস্থিত জনতার সর্বসম্মতিক্রমে একটি বোর্ড গঠন করে দেন। গঠিত বোর্ড প্রায় দেড় ঘন্টা আলাদা বৈঠকের পর তাদের পরামর্শ প্রদান করেন। বোর্ডের পরামর্শের প্রেক্ষিতে সকলের সম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয়- সংঘর্ষে প্রতিপক্ষের আক্রমণের শিকার হয়ে অন্ধ হওয়া ৪ জনের চিকিৎসা বাবত হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ৩ জনকে ৪ লাখ করে ১২ লাখ টাকা প্রদান করবেন এবং ধন মিয়ার ভাই চোখ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সেরুজ্জামান বাচ্চু মিয়ার চিকিৎসায় ৩ লাখ টাকা দিবেন প্রতিপক্ষ অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খান। এছাড়া অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খানকে প্রধান করে উভয় পক্ষের ছয়জন করে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি এক মাসের জন্য গঠন করা হয়। উক্ত ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি মিলে আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর সৈদ্যারটুলা ছান্দের জলমহাল ডাক দিবেন এবং আগামী ২১ অক্টোবর তারা ছান্দ সর্দার নিয়োগ করবেন মর্মে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়। ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- তালেবুর রহমান খান, ইকবাল বাহার খান, আজমল হোসেন খান, সূফি আলী শাহ, আব্দুল ওয়াদুদ, মুছা মিয়া, এস এম হাফিজুর রহমান, আশরাফ হোসেন খান শান্ত, শেখ তকলিছুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, হাফিজ মিয়া, আলী মাম্মদ।
সালিশের রায়ের পর ইউপি চেয়ারম্যান হায়দারুজ্জামান খান ধন মিয়া বলেন, আমি সালিশের সিদ্ধান্ত মেনে নিলাম। আমার একটাই কথা আমি টাকা ১২ লক্ষই দেবো তবে সেক্ষেত্রে আমি দুই জন ব্যক্তির চোখ ডাক্তার দ্বারা পরীক্ষা করে টাকা দেবো অন্যথায় দেবো না।
উভয় পক্ষের মামলার নিস্পত্তি ও দেখভাল করার জন্য অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম খানকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এবং মামলা নিস্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত জরিমানার টাকা অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান এমপি’র কাছে জামানত হিসাবে থাকার সিদ্ধান্ত হয়েছে।