যুক্তিবাদি সমাজ প্রতিষ্ঠায় বিতর্ক প্রতিযোগিতা ভূমিকা রাখতে পারে। বিতর্কের দ্বন্দ্বে প্রকৃত সত্য বেরিয়ে আসে। যুক্তি হচ্ছে বিজ্ঞানের প্রাণ। যুক্তির পথ ধরেই মধ্যযুগে রেনেসাঁ সংগঠিত হয়েছিল। যার পথ ধরে আমরা আধুনিক যুগে প্রবেশ করেছি। বর্তমান যুগ হচ্ছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির। এতে টিকে থাকতে হলে প্রয়োজন যুক্তিবাদি সমাজ। বিতর্ক ব্যক্তির অন্তর্নিহিত জ্ঞান ও চিন্তাকে শানিত করে। এটি নিছক তর্কের দ্বন্দ্ব নয়; বরং দু’পক্ষের যুক্তি, পাল্টা যুক্তি ও তা খন্ডনে আমরা কোনটি সঠিক সে সিদ্ধান্তে আসতে পারি। স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য প্রয়োজন স্মার্ট নাগরিক। আর স্মার্ট নাগরিক হতে হলে আমাদের যৌক্তিক হতে হবে। শুক্রবার বিকেল ৪ টায় সিলেট সরকারি অগ্রগামী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মিলনায়তনে পুষ্টি-প্রথম আলো আঞ্চলিক স্কুল বিতর্ক উৎসবের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে অনুপ্রেরণামূলক বক্তব্যে সিলেট মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক এসব কথা বলেন।
‘যোগ দাও যুক্তির মেলায়’ প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে সিলেটে শেষ হয়েছে পুষ্টি-প্রথম আলো আঞ্চলিক স্কুল বিতর্ক উৎসব। প্রথম আলোর ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশন ও যুব কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক মুনির হাসানের সভাপতিত্বে ও প্রথম আলো সিলেটের নিজস্ব প্রতিবেদক সুমন কুমার দাশের সঞ্চালনায় সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেটের যুগ্ম জেলা জজ আল আসাদ মোঃ মাহমুদুল ইসলাম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মোকাদ্দেস বাবুল, মু. আনোয়ার হোসেন ও সহকারি অধ্যাপক প্রণবকান্তি দেব। দিনব্যাপী উৎসবে সিলেট বিভাগের ১০টি স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশ নেয়।
প্রসঙ্গত, সিলেট আঞ্চলিক বিতর্ক উৎসবে বিজয়ী দল ঢাকায় জাতীয় পর্বের বিতর্ক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। বিজ্ঞপ্তি