স্টাফ রিপোর্টার ॥ নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের প্রজাতপুর নোয়াপাড়া গ্রামে ধানের বীজতলা খাওয়া নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন লীলাফুলা জখমে আহত হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতে এটেম টু মার্ডারের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়। এরপর থেকে আসামিরা পুলিশের ভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। তাদের অভিযোগ, তুচ্ছ একটি ঘটনাকে বড় করে থানায় অভিযোগ করা হয়। কিন্তু পুলিশ সুষ্ঠু তদন্ত না করেই মামলা রেকর্ড করার কারণে তারা এখন হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
অভিযোগে জানা যায়, ওই গ্রামের রুহেল মিয়ার, বাবুল মিয়া, সেবুল মিয়া, আছাব মিয়ার সাথে একই গ্রামের নুরুন্নেছা বেগমের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৩ জুলাই বিকালে নুরুন্নেছার জমির ধানের বীজ খেয়ে ফেলে রুহেল মিয়া গংদের হাঁস। এ নিয়ে তাদের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। এক পর্যায়ে গত ২৯ জুলাই সন্ধ্যায় উভয়পক্ষের মাঝে সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষ চলাকালে উভয়পক্ষের বেশ কয়েকজন লীলাফুলা জখম হয়। পরে তাদেরকে নবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়। এদিকে এ ঘটনাকে ভিন্নখানে প্রবাহিত করতে ও প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে পরের দিন নুরুন্নেছা বেগম বাদি হয়ে উল্লেখিতদের আসামি করে নবীগঞ্জ থানায় এটেম টু মার্ডারের মামলা করেন। অথচ এটেম টু মার্ডারের মতো রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের কোনো ঘটনা ঘটেনি। আসামিরা বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়ে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।