পিতার দাবি- সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো হয়তো নাঈম বেঁচে থাকতো

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জের হাতিরথান থেকে নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ৭ দিন পর নাঈম মিয়া (১৪) নামের এক মিশুক চালকের গলাকাটা লাশ চুনারুঘাটের রঘুনন্দন পাহাড়ের নির্জন স্থান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এরকম একটি হত্যাকা- নিয়ে জেলাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
গতকাল রবিবার দুপুরে চুনারুঘাট ও মাধবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী শাহজীবাজার রঘুনন্দন পাহাড় থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। পরে মরদেহটি ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়। সে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়নের হাতিরথান গ্রামের নিদান মিয়ার পুত্র ও স্থানীয় মাদ্রাসার ছাত্র। দরিদ্র সংসারে সে পড়ালেখার পাশাপাশি মিশুক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতো। এক সপ্তাহ আগে সে মিশুকসহ নিখোঁজ হয়। এরপর তার পিতা নিদান মিয়া ৩ জনকে সন্দেহ করে হবিগঞ্জ সদর থানায় একই এলাকার মানিক মিয়া, জিতু মিয়া ও রইছ মিয়াকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ এ বিষয়ে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি। তার পিতার দাবি, পুলিশ যদি সন্দেহভাজন অন্তত একজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতো তাহলে হয়তোবা তার ছেলে জীবিত উদ্ধার হতো। তিনি আরও জানান, মিশুকটি নিয়ে এর আগেও উল্লেখিতদের সাথে ঝামেলা হয়েছিল। মিশুকটি তারা আটকে রাখলে পুলিশের মাধ্যমে তা উদ্ধার করা হয়। পিতা নিদান মিয়ার ধারণা, এ কারণেই হয়তোবা তার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, রঘুনন্দন পাহাড়ের রাবার বাগানের একটি গহীন নির্জন স্থানে মাটির সাথে মিশে থাকা অর্ধগলিত মরদেহটি দেখতে পায় বনকর্মীরা। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ বলছে, পরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যা করে লাশটি গুমের চেষ্টা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে মিশুকটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। লাশের শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এ বিষয়ে সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা হবে বলে ওসি (তদন্ত) বদিউজ্জামান জানিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার সাথে সাথে পুলিশের বিভিন্ন টিম তাকে উদ্ধারের জন্য চেষ্টা করেছে। অভিযুক্তদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।