স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরে ছাত্রলীগ নেতা মোজাহিদ মিয়ার উপর হামলার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মক্রমপুর ইউপি চেয়ারম্যান আহাদ মিয়া ও জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহিসহ ১৩ জন জামিন লাভ করেছেন। গতকাল রবিবার দুপুরে আসামীরা হবিগঞ্জের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ জাকির হোসাইন এর আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। জামিনপ্রাপ্তরা হলেন- বানিয়াচং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইউপি চেয়ারম্যান আহাদ মিয়া, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুর রহমান মাহি, ইউপি চেয়ারম্যান আহাদ মিয়ার ছেলে শুভ মিয়া, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য আশিক মিয়ার ছেলে মোতাব্বির মিয়া, আব্দাল মিয়া, জাহেদ মিয়া, ইব্রাহিম, জাহির মিয়া, সাহিদ মিয়া, কাদির মিয়া, কবির মিয়া, মদনমুরত গ্রামের কল্লোল দাস ও নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মোহাম্মদ আলী।
মামলার বিবরণে বাদী মোঃ মোজাহিদ মিয়া উল্লেখ করেন- তিনি বানিয়াচং উপজেলার কবিরপুর গ্রামের আতর আলী ছেলে, পুকড়া ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খান সম্পর্কে তার দাদা। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এমপি মজিদ খানের উন্নয়ন কর্মকান্ড নিয়ে প্রচার-প্রচারণা করে যাচ্ছেন। কিন্তু আসামীরা এমপি’র বিরুদ্ধে অপপ্রচার করলে তিনি প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামীরা গত ৩০ আগস্ট সন্ধ্যায় এমপি অ্যাডভোকেট আব্দুল মজিদ খানের বাসার গেইটের সামনে তার উপর হামলা চালায়। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ৫ সেপ্টেম্বর আদালতে আহত মোজাহিদ মিয়া মামলা দায়ের করেন। মামলাটি আমলে নিয়ে ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহসহ ৪ দিনের মধ্যে আদালতকে অবহিত করার জন্য সদর মডেল থানাকে নির্দেশ প্রদান করা হয়। ওই মামলার ১৪ জন আসামীর মধ্যে ১৩জন আসামী গতকাল আদালতে আত্মসমর্পণ করলে বিচারক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন। আসামীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ত্রিলোক কান্তি চৌধুরী বিজন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার আসামীপক্ষে উল্লেখযোগ্য আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন অ্যাডভোকেট ফজলে আলী, অ্যাডভোকেট আকবর হোসেন জিতু, অ্যাডভোকেট লুৎফুর রহমান তালুকদার, অ্যাডভোকেট সুলতান মাহমুদ, অ্যাডভোকট শাহ ফখরুজ্জামান, অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান খান সজল প্রমূখ।
আদালত থেকে জামিন লাভ করার পর ইউপি চেয়ারম্যান আহাদ মিয়া জানান, এ ঘটনার সাথে আমি ও আমার পরিবারের কোন সদস্য জড়িত নই। ষড়যন্ত্রমূলকভাবে আমাদের আসামী করা হয়েছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।