আবুল কালাম আজাদ, চুনারুঘাট থেকে ॥ প্রায় ৩৮ বছর চাকুরি করে বিদায় বেলা ফুলেল শুভেচ্ছাসহ রাজকীয় বিদায় সংবর্ধনা পেলেন চুনারুঘাট থানার কনস্টেবল মোঃ বশির মিয়া। শনিবার দুপুরে তাকে চুনারুঘাট থানা পুলিশের পক্ষ থেকে সংবর্ধনা দিয়ে সাজানো গাড়িতে করে পাঠানো হয় নিজ বাড়ি সিলেট জেলার কানাইঘাট উপজেলায়।
কনস্টেবল মোঃ বশির মিয়া পুলিশে চাকুরি করেছেন ৩৭ বছর ৮ মাস ২৬ দিন। এর মধ্যে তার জীবনের দীর্ঘ সময় কাটিয়েছেন চুনারুঘাট থানায়। বদলীযোগ্য চাকুরি হওয়ার কারণে কয়েক দফা বদলী হলেও চুনারুঘাটেই তিনি অধিকাংশ সময় কাটিয়েছেন। অত্যন্ত অমায়িক, হাসিখুশি ও সদালাপী বশির মিয়া অনেকের কাছে বশির ভাই নামে পরিচিত। চাকুরির দায়িত্ব পালন শেষে যে সময় পেতেন সেই সময়টুকু চুনারুঘাটের মানুষের সাথে কাটিয়েছেন। পরিবার পরিজন নিয়ে থাকতেন থানার পশ্চিমে ভাড়া বাসায়। বদলী হলেও তার পরিবার থাকতো চুনারুঘাটে। অনেক থানায় চাকুরি করলেও ছুটি পেলে চলে আসতেন চুনারুঘাট। শনিবার তার চাকুরি জীবনের শেষ দিন ছিল। চুনারুঘাট থানা থেকে তাকে রাজকীয় সংবর্ধনা দিয়ে বিদায় জানানো হয়। দুপুরে বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুনারুঘাট-মাধবপুর সার্কেলের সিনিয়র সহকারি পুলিশ নির্মলেন্দু চক্রবর্তী। এতে সভাপতিত্ব করেন ওসি রাশেদুল হক। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন পর্যায়ের অফিসার ও কনস্টেবলগণ উপস্থিত ছিলেন। সংবর্ধনা শেষে তার হাতে তুলে দেওয়া হয় ক্রেস্ট ও উপহার। পরে ফুল ছিটিয়ে সাজানো গাড়িতে করে তাকে পাঠানো হয় গ্রামের বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলায়। তার বিদায়ের পরই বিষয়টি সোস্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়। অনেকেই তাকে নিয়ে নানা স্মৃতিচারণ করে লিখছেন। কনস্টেবল বশির মিয়া ছিলেন চুনারুঘাটের সকলের প্রিয় বশির ভাই। বিদায় বেলায় ফুটে উঠেছে তার কর্মজীবনের নানা দিক। অনেকেই তাকে মিস করার কথা জানিয়ে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিচ্ছেন ফেসবুকে।
চুনারুঘাট থানার ওসি রাশেদুল হক বলেন, কনস্টেবল বশির আমাদের পরিবারের একজন ভাল মানুষ ছিল। দায়িত্বশীল ও সৎ হিসেবে আমি তাকে দেখেছি। তাকে বিদায়বেলা সংবর্ধিত করতে পেরে আমরাও খুশি। তার অবসর জীবন ভাল কাটুক এমন প্রত্যাশা করেন তিনি।