স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন- হাইকোর্ট থেকে বের হওয়ার পর রাস্তা থেকে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ পৌরসভার পদত্যাগকারী মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছকে সাদা পোশাকধারি গোয়েন্দা পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে অস্বীকার করার পর গতকাল বুধবার তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বিরোধী দলের নেতাদের এভাবে উঠিয়ে নিয়ে প্রথমে অস্বীকার এবং পরবর্তীতে আদালতে সোপর্দের ঘটনা এখন আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গ্রেফতারী পরোয়ানা ছাড়া তুলে নিয়ে গিয়ে গুম করাটা অবৈধ আওয়ামী সরকারী নীতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।
গতকাল এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে তিনি বলেন- মধ্যরাতের নির্বাচনের পরও অবৈধ আওয়ামী সরকার নিজেদের অস্তিত্বের প্রশ্নে সব সময় অজানা আশংকায় উদ্বিগ্ন থাকে। তাই বিএনপি সহ বিরোধী দল ও মতের মানুষদের ভয় পাইয়ে রাখার জন্য গুম, ক্রসফায়ারের ধারাবাহিকতা চালু রাখা হয়েছে। বিএনপিসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মী ও সরকারের সমালোচকরাই আজ সবচেয়ে বেশী গুম ও গায়েবী মামলায় গ্রেফতারের শিকার হচ্ছেন। বাসা বাড়িতে হানা, বাড়ির সদস্যদের প্রতি দুর্ব্যবহারসহ নানাভাবে বিএনপির নেতাকর্মী ও তাদের পরিবার নির্যাতন-নিপীড়নের যাঁতাকলে পিষ্ট হচ্ছে। বিএনপি’র কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছ বিএনপি’র একজন বলিষ্ঠ নেতা। হবিগঞ্জে তার সংগ্রামী ভূমিকার কারণেই তাকে পুলিশ তুলে নিয়ে গিয়ে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। অনেক দিন থেকেই সরকার তাকে টার্গেট করেছে। তিনি এখন সরকারী দলের হিংস্রতার শিকার হলেন। তাকে গ্রেফতারের ঘটনায় আবারও প্রমাণিত হলো যে, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার দেশকে বিরোধী দলশূন্য করে নব্য বাকশালী শাসনকে পাকাপোক্ত করতেই বদ্ধপরিকর। জুলুম-নির্যাতন-হামলা-মামলার বিরাজমান পরিস্থিতিতেও দেশের মানুষ গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার আন্দোলন থেকে পিছপা হবে না। সকল দুর্যোগ-দুর্বিপাক মোকাবেলা করেই জনগণ আওয়ামী সরকারের পদত্যাগসহ নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের এক দফা দাবির আন্দোলন বিজয় লাভ করবেই।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন- আমি জি কে গউছের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তির জোর আহবান জানাচ্ছি।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com