হবিগঞ্জ পৌরসভার মাসিক সভায় মেয়র সেলিম
নির্দিষ্ট সংখ্যক মটর চালিত রিক্সাকে পৌরসভার নাম্বার প্লেইটের আওতায় এনে বাদবাকী সকল অবৈধ রিক্সা চলাচল বন্ধ করা হবে
স্টাফ রিপোর্টার ॥ দীর্ঘদিন যাবত বাজার ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা থাকায় হবিগঞ্জ পৌরসভা প্রত্যাশিত আয় হতে বঞ্চিত হয়েছে। বর্তমান পরিষদ দায়িত্ব গ্রহনের পর হতে একে একে পৌরসভার মার্কেট সমূহকে একটি শৃংখলার মধ্যে আনা হচ্ছে। হবিগঞ্জ পৌরসভার মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্য রাখতে গিয়ে মেয়র আতাউর রহমান সেলিম এসব কথা বলেন। তিনি বলেন শহরে যানজট নিরসনের জন্য আমরা শহরের সর্বস্তরের নাগরিক প্রতিনিধিদের মতামত ও পরামর্শক্রমে খোয়াই ব্রীজ ওয়ানওয়ে করা, স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগসহ নানা পদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। এ পদক্ষেপ গ্রহনের শুরুতে কারো কারো মনে সংশয় ও দ্বিধাদ্বন্দ্ব থাকলেও তা বাস্তবায়নের ফলে আশানুরূপ ফল পাওয়া গেছে। বর্তমানে পৌরসভার এ পদক্ষেপকে সবাই সাধুবাদ জানাচ্ছেন।
সোমবার সকালে পৌরসভার সভাকক্ষে আগস্ট মাসের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। ওই সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর মোঃ জাহির উদ্দিন, গৌতম কুমার রায়, মোহাম্মদ জুনায়েদ মিয়া, আলাউদ্দিন কুদ্দুস, টিপু আহমেদ, প্রিয়াংকা সরকার, খালেদা জুয়েল ও পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাবেদ ইকবাল চৌধুরী।
মেয়র আতাউর রহমান সেলিম বলেন, ‘নির্দিষ্ট সংখ্যক মটর চালিত রিক্সাকে পৌরসভার নাম্বার প্লেইটের আওতায় এনে বাদবাকী সকল অবৈধ রিক্সা চলাচল বন্ধ করা হবে।’ তিনি বলেন, ‘পৌরসভার উন্নয়ন ও নাগরিক সেবার মান আরো উন্নত করতে আমরা আয়বর্ধক প্রকল্প গ্রহন করার ব্যাপারে জোর দিচ্ছি। এরই ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে বেশ কিছু সম্পদ অবৈধ দখলমুক্ত করে পৌরসভার আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য পৌরসভার সকল সম্পদ উদ্ধার করে পৌরসভার আয়বর্ধক ও সৌর্ন্দয্যবর্ধক প্রকল্প হিসেবে সেগুলোর সদ্বব্যবহার করা।’
মেয়র বলেন,‘আমরা ইতিমধ্যে বাইপাস সড়ক হতে দীর্ঘদিনের আবর্জনা অপসারণ করে নতুন ডাম্পিং স্টেশন বাস্তবায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে নতুন ডাম্পিং স্টেশনের রাস্তা শোচনীয় অবস্থায় থাকা প্রতিদিন বর্জ্য নিয়ে যেতে পৌরসভাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমরা আশা করছি শীঘ্রই ওই রাস্তা সংস্কার করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজ বেগবান করা হবে।’ তিনি আরো বলেন,‘পাড়া মহল্লায় ডাস্টবিনের উপর নির্ভরতা কমিয়ে আমরা বাড়ি-বাড়ি বর্জ্য সংগ্রহের কাজ জোরদার করছি।’ তিনি সবাইকে ভ্যানগাড়িতে ময়লা-আবর্জনা দেয়ার জন্য আহবান জানান।
একই দিন বিকেলে স্বাস্থ্য, পানি ও স্যানিটেশন স্থায়ী কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয় পৌরসভার সভাকক্ষে। মেয়র আতাউর রহমান সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউএসএআইডি’র সিলেট বিভাগীয় কোঅর্ডিনেটর মোঃ আব্দুল মতিন।