ঢাকায় চিকিৎসাধীন হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি অজয় দেব এর খোঁজখবর নিলেন আইজিপি

আইজিপি বললেন- ১৯ আগস্ট বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে হবিগঞ্জে জনগণের স্বাভাবিক চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হলে হবিগঞ্জ থানা পুলিশ বিনীতভাবে তাদেরকে অনুরোধ করে রাস্তা খোলা রাখার জন্য। কিন্তু সে অনুরোধ তারা রাখেনি, বরং দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার আঘাতপ্রাপ্ত ওসি অজয় চন্দ্র দেবকে রাজধানী ঢাকার শেরেবাংলানগর জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে দেখতে গেছেন বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন। গতকাল মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে গিয়ে আহত ওসি অজয় চন্দ্র দেবের শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার ব্যাপারে খোঁজখবর নেন আইজিপি। সেখান থেকে বের হয়ে সাংবাদিকদের সাথে কথা বলেন তিনি।
আইজিপি বলেন, যদি কেউ কর্মসূচির নামে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির চেষ্টা করেন, তাহলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দায়িত্ব পালনের সময় আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এর আগে, বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শনিবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে হবিগঞ্জে বিএনপি ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) অজয় চন্দ্র দেব চোখে আঘাত পান। এরপর উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়।
আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন বলেন, ‘১৯ আগস্ট বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচিতে হবিগঞ্জে জনগণের স্বাভাবিক চলাচলে বিঘœ সৃষ্টি হলে হবিগঞ্জ থানা পুলিশ বিনীতভাবে তাদেরকে অনুরোধ করে রাস্তা খোলা রাখার জন্য। কিন্তু সে অনুরোধ তারা রাখেনি, বরং দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের ওপরে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করা হয়েছে। সে সময় নিক্ষিপ্ত ঢিলে আহত হয়েছেন হবিগঞ্জ মডেল থানার ওসি অজয়। তিনি মারাত্মকভাবে বাম চোখে আঘাত পেয়েছেন, তার অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন। তিনি এখানে চিকিৎসাধীন, আমি এখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকদের প্রতি কৃতজ্ঞ ওসি অজয়ের চিকিৎসায় সব ধরনের ব্যবস্থা করছেন।’
আইজিপি চিকিৎসকদের বরাতে বলেন, ‘অজয়ের অবস্থা এখনও সংকটাপন্ন, এজন্য তার চিকিৎসা নিশ্চিতে চিকিৎসকদের বোর্ড গঠন করা হয়েছে। যাতে করে দ্রুত সময়ের মধ্যে তার আরোগ্য নিশ্চিত করা যায়।’
আইজিপি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার ক্ষেত্রে বাহিনীর কোনো সদস্য যদি আক্রান্ত হন, আহত হন তাদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য আমরা সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।’
সামনে জাতীয় নির্বাচন, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশের প্রস্তুতি বিষয়ে জানতে চাইলে আইজিপি বলেন, ‘পুলিশ দেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য পুলিশকে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ, লোকবল নিয়োগ, সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং ইক্যুপমেন্ট যা দরকার সবই আছে। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় আইনানুগভাবে ও সাহসিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য আমাদের পুলিশ সদস্যরা প্রস্তুত। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলার সক্ষমতা রয়েছে।’