হবিগঞ্জে বিএনপি-পুলিশ সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের দুই মামলায় যারা আসামী

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগরে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় আরও ১৩ জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়।
গত ১৯ আগস্ট বিকেলে হবিগঞ্জ শহরের শায়েস্তানগরে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষের ঘটনায় হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক পদত্যাগী মেয়র আলহাজ¦ জি কে গউছকে প্রধান আসামি করে পুলিশের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়। হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার এসআই খোরশেদ আলম বাদী হয়ে পুলিশ এসল্ট ও এসআই আব্দুল ওয়াহেদ গাজী বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেন। উভয় মামলায় জি কে গউছ প্রধান আসামী। উভয় মামলার আসামীদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান চলছে। গ্রেফতার এড়াতে বিএনপি নেতাকর্মীরা বাসাবাড়িতে অবস্থান করছেন না।
পুলিশ সূত্র জানায়, এসআই খোরশেদ আলম বাদী হয়ে দায়েরকৃত পুলিশ এসল্ট মামলায় ৯৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৭শ’ জনকে আসামী করা হয়। অপরদিকে, এসআই আব্দুল ওয়াহেদ গাজী বাদী হয়ে দায়েরকৃত বিস্ফোরক আইনের মামলায় ৮৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৬শ’ জনকে আসামী করা হয়।
এসআই খোরশেদ আলমের দায়ের করা পুলিশ এসল্ট মামলার আসামীরা হলেন- জি কে গউছ, শায়েস্তানগরের গোলাম মাহবুব, জেলা ছাত্রদল সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন, সাবেক সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান, সাবেক সভাপতি মহিবুল ইসলাম শাহীন, জেলা বিএনপির আহবায়ক পৌর কাউন্সিলর আবুল হাসিম, সফিকুর রহমান সিতু, ইনাতাবাদের টিপু আহমেদ, গোপায়ার জালাল আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নোয়াবাদের রুবেল আহমেদ চৌধুরী, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, মাধবপুরের সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল আজিজ, হবিগঞ্জ শহরতলীর জালালাবাদের মুর্শেদ আলম সাজন, অলিউর মিয়া, উমেদনগরের হাফিজুল ইসলাম হাফিজ, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল হক শরীফ, ছোট বহুলার মোজাম্মেল হোসেন সুমন, সাবেক পৌর কাউন্সিলর মাহবুবুল হক হেলাল, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট এনামুল হক সেলিম, জি কে গউছের ভাই জি কে গাফফার, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক মিজানুর রহমান চৌধুরী, জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জহিরুল ইসলাম সেলিম, শ্যামলী আবাসিক এলাকার অ্যাডভোকেট নূরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট কামাল উদ্দিন সেলিম, শায়েস্তানগরের গোলাম ফারুক, বালিকান্দির আহাদ মিয়া, বহুলার হাজি কুম্মেদ আলী, শায়েস্তানগরের শাহজাহান মিয়া, জি কে গউছের ভাই গোলাম মাওলা, মাধবপুর বাজারের জুলহাস উদ্দিন রিংকু, রাসেল, মুর্শেদ ও তার ভাই হাজী ফিরোজ মিয়া, আন্দিউড়ার চৌধুরী ফজলে ইমাম সুমন, মাধবপুর কৃষ্ণনগরের আল মামুন, পশ্চিম মাধবপুরের জসিম সিকদার, মনির উদ্দিন পাঠান, মাধবপুর বেজুড়ার মহিব উল্লা, শায়েস্তাগঞ্জ পুরাসুন্দার নূরুল আমিন, সুরাবই’র রাসেল মিয়া, পুরাসুন্দার কামরুল মিয়া, আব্বাস, সুরাবই’র হাছান মিয়া, কামাল মিয়া, ওস্তার খাঁ, সলিম উল্লা, গোলাম সরওয়ার বাবুল, মিজানুর রহমান বিল্লাল, নূরপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া চৌধুরী বেলাল, নূরপুরের সান্টু মিয়া, কাজল মিয়া, নছরতপুরের ফজলুল করিম, আব্দুল আজিজ, শায়েস্তাগঞ্জ চানপুরের সাইদুল মিয়া, শায়েস্তাগঞ্জ পূর্ব নোয়াবাদের বকুল মিয়া, চুনারুঘাট বড়াইলের মোজাম্মেল হক চৌধুরী, ময়নাবাদের মারুফ আহমেদ, কাচুয়ার সৈয়দ আবু নাঈম হালিম, উত্তর আমকান্দির সাইফুর রহমান সুজন মিয়া, বড়াইলের শাহ প্রান্ত, মাধবপুর পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক, চট্টগ্রামের লোহাগড়ার চুনতি মুন্সেফ বাজারের মোঃ জাহাঙ্গীর, মাধবপুরের হারিয়া গ্রামের মোস্তফা কামাল বাবুল, মাধবপুরের বাজারের সুজন, নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোঃ সোহেল, মাধবপুর বেজুড়ার এনায়েত উল্লা, মাধবপুরের আলমগীর কবির, কৃষ্ণনগরের আল হেলাল সুমন, বেজুড়ার আরজু মেম্বার, সাতপাড়িয়ার (বর্তমান শাহপুর বাজার) রশিদ মেম্বার, পশ্চিম বাঘাসুরার সহিদুর রহমান, পশ্চিম মাধবপুরের আলাউদ্দিন আল রনি, কালিকাপুরের সামছুল ইসলাম কামাল, চৌমুহনী ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান সোহাগ, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফরিদ আহমেদ অলি, শায়েস্তাগঞ্জ কদমতলীর মিজানুর রহমান সুমন, তালুকড়াই’র জিয়াউর রহমান, মহলুল সুনামের জলিল, হবিগঞ্জ পৌর এলাকার তেঘরিয়ার তৌফিকুল ইসলাম রুবেল, দক্ষিণ মোহনপুরের আতিকুর রহমান সাজন, ইনাতাবাদ জঙ্গলবহুলার আলী আকবর, বানিয়াচং গরীব হোসেন মহল্লার সাকিব মিয়া, লাখাই বুল্লা বাজারের ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী মোঃ মুকুল মিয়া, বহুলা গ্রামের শাহীনুর রহমান শাহীন, আজমিরীগঞ্জের নগর গ্রামের ফখরুল মিয়া, ফজলু মিয়া, রামনগরের লিচু মিয়া, নবীগঞ্জ চরগাঁও’র আনোয়ার হোসেন চৌধুরী, তৌহিদুল ইসলাম, হবিগঞ্জ শহরের ইনাতাবাদের এস এম আব্দুল আউয়াল, উমেদনগর আলগা বাড়ির শেখ মামুন, বড় বহুলার টুটন আহমেদ, ২নং পুল এলাকার রাব্বি আহমেদ, হবিগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক ইকবাল হোসেন রুকন, সদর উপজেলার বালিকান্দি গ্রামের আহাদ মিয়া, বারাপইত গ্রামের মোঃ মাসুক মিয়া, বালিকান্দির রুবেল মিয়া হাসান।
এ মামলায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার বালিকান্দি গ্রামের মৃত আফতাব আলীর ছেলে আহাদ মিয়াকে দুইবার আসামী করা হয়েছে। এ মামলার ২৬ নম্বর এবং ৯৬ নম্বর আসামী তিনি।
এসআই আব্দুল ওয়াহেদ গাজীর দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলার আসামীরা হলেন- হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক পদত্যাগী মেয়র আলহাজ¦ জি কে গউছ, হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদল সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম মাহবুব, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি এমদাদুর রহমান ইমরান, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির আহবায়ক পৌর কাউন্সিলর আবুল হাসিম, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রুবেল আহমেদ চৌধুরী, হবিগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সৈয়দ মুশফিক আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মহিবুল ইসলাম শাহীন, জালালাবাদের মুর্শেদ আলম সাজন, পৌর কাউন্সিলর সফিকুর রহমান সিতু, ইনাতাবাদের টিপু আহমেদ, জালাল আহমেদ, অধ্যাপক এনামুল হক, আব্দুল আউয়াল, বাচ্চু মিয়া, যশেরআব্দার জয়নাল মিয়া, বহুলার সুমন মিয়া, পাটলী গ্রামের আব্দুল মতিন, বাঘআছড়া গ্রামের কাউছার মিয়া, চারিনাও গ্রামের আব্দুল খালেক, নাতিরপুরের সাইফুল ইসলাম মুন্না, জি কে গউছের ভাই জি কে গাফফার, জালালাবাদ নোয়াগাঁও’র কুতুব উদ্দিন জুয়েল, বহুলার হাবিবুর রহমান হাবিব, আব্দুল আহাদ, সোহেল মিয়া, জুবায়ের মিয়া, জি কে গউছের ছোট ভাই গোলাম মাওলা, বড় বহুলার আব্দুল মান্নান, ইনাতাবাদের এসএম আব্দুল আউয়াল, শায়েস্তানগরের শ্যামল আহমেদ সরদার, বড় বহুলার জিল্লুর রহমান, লাখাই ভাদিকারার শরীফ আহমেদ, পুরাসুন্দার গোলাম সরওয়ার পলাশ, লাখাই বামৈ পূর্ব গ্রামের শাহ আলম গোলাপ, শায়েস্তানগরের জি কে ঝলক, শায়েস্তাগঞ্জ বিরামচরের মিজানুর রহমান, নূরপুরের রাকিবুল হোসেন শান্টু, শায়েস্তাগঞ্জ শাহপুরের শেখ রানা, তালুকড়াই’র জিয়াউর রহমান, লাখাই মুড়িয়াউকের মাহমুদুল হাসান মাহমুদ, চুনারুঘাট বড়াইলের নোমান মিয়া, কৌশিক মিয়া, চন্দনা গ্রামের কুতুব আলী মীর লিটন, চুনারুঘাট ক্রসরোডের আরিফুল ইসলাম আরিফ, চন্দনা গ্রামের আব্দুল মান্নান রুমন, বড়াইলের শাহ শরীফ, বানিয়াচং সাগরদিঘীর পূর্ব পাড়ের সাদিকুর রহমান, শামীম খান, শরীফখানির মুজিবুল হোসেন মারুফ, কুতুবখানির নকিব ফজলে রাকিব মাখন, আমিরখানির মোঃ জহির হোসাইন, মাদারিটুলার মোঃ খালেদ মিয়া, বাগমহল্লার হাজী মোঃ লুৎফুর রহমান, দেওয়ানদিঘীর পাড়ের ফরহাদ হোসেন বকুল, মিয়াখানির মহিবুর রহমান বাবুল, যাত্রাপাশার সালাউদ্দিন ফারুক, মোঃ নাজমুল হোসেন, মহেরের পাড়ার তানিয়া আক্তার, দক্ষিণ নন্দীপাড়ার আনছার উদ্দিন, মজলিশপুরের ফজলে এলাহী, তোপখানার দেলোয়ার হোসেন খান, দোয়াখানীর মোঃ শরীফ উদ্দিন, যাত্রাপাশার শেখ আমজাল হোসেন, শাহজাহান মিয়া, সাগরদীঘির পশ্চিম পাড়ের ওয়াহিদুল মুরাদ, চতুরঙ্গ রায়ের পাড়ার শরীফ উদ্দিন ঠাকুর, আড়িয়ামুগুর গ্রামের গোপাল চন্দ্র দাস, বাগাহাতা গ্রামের মোঃ মঈন উদ্দিন, জাতুকর্ণপাড়ার সোহেল মিয়া, দেওয়ানদীঘির দক্ষিণ পাড়ের সালাউদ্দিন, ইনাতখানীর হাবিবুর রহমান তালুকদার, পূর্ব নন্দীপাড়ার আল আমীন আখঞ্জী, নূরপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বেলাল, শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ফরিদ আহমেদ অলি, পশ্চিম লেঞ্জাপাড়ার ফাহিম হোসেন, শায়েস্তাগঞ্জ কদমতলী গ্রামের মিজানুর রহমান, দক্ষিণ বড়চর গ্রামের মনিরুল হক রানা, দক্ষিণ লেঞ্জাপাড়ার কামরুল হাসান শিপন, মাধবপুর পৌরসভার মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক, মাধবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহজাহান, শায়েস্তাগঞ্জ নিশাপট গ্রামের আব্দুল শহিদ, বহুলা গ্রামের শাহিনুর রহমান শাহিন, যশেরআব্দার শান্ত মিয়া, শায়েস্তানগরের মোজাক্কির হোসেন ইমন, উমেদনগরের শেখ মামুন প্রমূখ।