অভিযোগকারী সজল দাশ এফিডেভিট করে বললেন তার নাম ব্যবহার করে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার ॥ বেনামী অভিযোগে হবিগঞ্জ জেলা কৃষকলীগ সভাপতি হুমায়ুন কবির রেজাকে হয়রানীর ষড়যন্ত্র ফাঁস হয়ে গেছে। যার অভিযোগে কথিত তদন্ত এবং মামলা হয়েছে সেই সজল কুমার দাশ এফিডেভিট করে বলেছেন তিনি এ ধরনের কোন অভিযোগ দায়ের করেননি। অথচ তাকে মামলায় ৫নং সাক্ষী করা হয়েছিল। এই এফিডেভিট এর খবর ছড়িয়ে পড়লে সর্বত্র চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।
বানিয়াচং উপজেলার হিয়ালা গ্রামের উপানন্দ দাশ ওরফে সুনীল কুমার দাশ এর ছেলে সজল কুমার দাশ গত ৩ মার্চ নোটারী পাবলিকের নিকট এফিডেভিটে বলেন, হুমায়ুন কবির রেজার বিরুদ্ধে খাগাউড়া ভূমি অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা দিদার হোসেন যে মামলা দায়ের করেছেন তাতে তাকে ৫নং সাক্ষী করা হয়েছে। অথচ আমি কিছুই জানি না। প্রকৃতপক্ষে হুমায়ুন কবির রেজা আমার ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং জেলা কৃষকলীগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সদস্য। তিনি অত্যন্ত ভদ্র ও জনপ্রিয় ব্যক্তি। আমি লোক মারফত অবগত হই যে, ২০২০ সনের ডিসেম্বর মাসে হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক বরাবর হুমায়ুন কবির রেজার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উক্ত আবেদনে আমি আবেদনকারী বলে স্বাক্ষর দেখানো হয়েছে। যাহা সত্য নহে। প্রকৃতপক্ষে আমি আবেদনে কোন স্বাক্ষর করিনি কিংবা উক্ত আবেদনের অভিযোগ সম্পর্কে আমি ইতিপূর্বে অবগত ছিলাম না। সম্পূর্ণ প্রাবঞ্চিকভাবে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে আমার নাম ব্যবহার করে কে বা কারা আবেদন দাখিল করেছেন।
হুমায়ুন কবির রেজা জানান, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছাড়াও জেলা কৃষক লীগের সভাপতি হিসাবে দীর্ঘদিন যাবৎ দায়িত্ব পালন করে আসছেন। কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিরও একজন সদস্য। তরুণ বয়সে তিনি বানিয়াচং উপজেলার মক্রমপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জেলা মানবাধিকার সোসাইটি, জেলা চাউল কল মালিক সমিতির যুগ্ম-আহবায়কসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথেও তিনি সম্পৃক্ত। রাজনৈতিক ধারাবাহিকতায় বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি হবিগঞ্জ-২ (বানিয়াচং-আজমিরীগঞ্জ) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ার জন্য চেষ্টা করেন। দলীয় মনোনয়ন না পেলেও নৌকার বিজয় নিশ্চিত করতে তিনি এবং তার সংগঠনের নেতাকর্মীরা মাঠে দিনরাত কাজ করেন। কিন্তু তার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ তার এই অগ্রযাত্রাকে দমিয়ে রাখতে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। এরই অংশ হিসাবে ব্যবহার করা হয় প্রশাসনকে। এই এফিডেভিটের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে অদৃশ্য ওই শক্তির ইন্দনে বেনামী অভিযোগ দিয়ে তাকে হয়রানী করা হচ্ছে। এর আগে হবিগঞ্জে কর্মরত সাংবাদিকরাও সরজমিনে আমার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ পাননি। কিন্তু একটি অশুভ শক্তির চাপে আমার বিরুদ্ধে একটি মনগড়া তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করার পর মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, মক্রমপুর গ্রামের ভূমিহীনদের নামে বরাদ্দকৃত জমি তাদের নামে এবং দখলেই আছে। আমার কোন জমি নেই। সেখানে ভূমির ইজারাদারদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি মসজিদ ও মাদ্রাসা তৈরি করে দেই। কিন্তু মসজিদ ও মাদ্রাসা পরিচালনা বা এ সংক্রান্ত কোন কমিটিতেই আমি নেই। আর সেই জমি এখনও ভূমিহীনদেরই দখলে আছে এবং সরকারের সাথে হাইকোর্টে মামলা ও স্থগিতাদেশ চলমান রয়েছে।