হবিগঞ্জ শহরের ফুসকা দোকানের কর্মচারী নিজাম হত্যা
স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরের ফুসকা দোকানের কর্মচারী নিজাম উদ্দিন হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়া আমেরিকা প্রবাসী স্বামী-স্ত্রীকে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে সদর থানা পুলিশ। এ সময় আরেকজনকে আটক করা হয়েছে বলে জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর থানার ওসি সহ একদল পুলিশ শহরের নিউ মুসলিম কোয়ার্টার এলাকার কুদরত মঞ্জিলের নিজাম হত্যা মামলার ঘরটি আটককৃতদের নিয়ে পরিদর্শন করে এবং বিভিন্ন জিনিস জব্দ করে।
প্রসঙ্গত, গত ১২ মার্চ রাত ৯টার দিকে হানিফ উল্লার স্ত্রী রুমানার সাথে পরকীয়া সম্পর্ক থাকার কারণে প্রধান আসামি হানিফ উল্লা ফুসকা দোকানের কর্মচারী নিজাম উদ্দিনকে হত্যা করে লাশ মোটর সাইকেলযোগে গুমের চেষ্টা করে। ব্যর্থ হয়ে লাশটি শ্যামলী এলাকার একটি পরিত্যক্ত বাড়ির নিকট ফেলে পালিয়ে যায়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের জিম্মায় দেয়। এ ঘটনায় নিজাম উদ্দিনের পিতা উপজেলার হরিণখোলা গ্রামের ইমাম উদ্দিন বাদি হয়ে হানিফ উল্লা, তার স্ত্রী রুমানার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও দুই তিনজনকে আসামি করে সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলা দায়ের করার পর আসামিদের ধরতে বিভিন্ন থানা ও এয়ারপোর্টে বার্তা দেয় পুলিশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে স্বামী-স্ত্রীকে সন্তানসহ আটক করা হয়। মামলাতে উল্লেখ করা হয়, হানিফ উল্লা প্রায় সময়ই আমেরিকা থাকেন। এ সুযোগে রুমানা আক্তার পরকিয়ায় জড়িয়ে পড়েন বৃন্দাবন কলেজ রোডের ঢাকা ফুসকা হাউজের শ্রমিক নিজাম উদ্দিনের সাথে। প্রায়ই তারা গোপন অভিসারে মিলিত হত। ১ মার্চ হানিফ উল্লার বাড়ির পাশে খলিল উল্লার ভাড়া বাসায় নিজাম উদ্দিনের রুমে অভিসারে মিলিত হয়। তখন হানিফ উল্লা তাদেরকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। এরপর থেকেই নিজামকে হত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে তারা। হত্যার সময় তার শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে আঘাত করে হত্যা নিশ্চিত করা হয়। অপরদিকে গত মঙ্গলবার গভীর রাতে রোমানা ও হানিফ উল্লা তাদের সন্তানদের নিয়ে আমেরিকা যাবার সময় ঢাকায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে তাদের আটক করে পুলিশ। পুলিশের একজন কর্মকর্তা জানান, মোটামুটি হত্যা রহস্য উদঘাটন হয়েছে। আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি জানানো হবে।