স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র, কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ২৪ জন প্রার্থী জামানত হারিয়েছেন। নির্বাচনের বিধান অনুযায়ী জামানত রক্ষার জন্য প্রার্থীকে কাস্টিং ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট পেতে হয়। সেই হিসেবে মেয়র পদে ৪ জন, কাউন্সিলর পদে ১৪ জন ও সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৬ জন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী তাদের জামানত রক্ষা করার মতো ভোট পাননি। মেয়র পদে যারা জামানত হারিয়েছেন তাঁরা হলেন- বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী অ্যাডভোকেট মোঃ এনামুল হক সেলিম, নাগরিক সমাজের হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী মোঃ শামছুল হুদা, স্বতন্ত্র প্রার্থী জগ প্রতিকের গাজী মোঃ পারভেজ হাছান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মোবাইল প্রতিকের বশিরুল আলম কাওছার। কাউন্সিলর পদে ১নং ওয়ার্ডে জামানত হারিয়েছেন মোঃ ফরহাদ হোসেন টিটু, বুলবুল আহমেদ রুমী, মোঃ লুৎফুর রহমান দুদু ও ইকবাল আহেমদ; ২নং ওয়ার্ডে জামানত হারিয়েছেন সোহেল আহমেদ; ৩, ৪ ও ৫নং ওয়ার্ডে কোন প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থী জানামত হারাননি; ৬নং ওয়ার্ডে জামানত হারিয়েছেন শাহ মোঃ জালাল উদ্দিন জুয়েল ও মোঃ এনামুল হক; ৭নং ওয়ার্ডে জামানত হারিয়েছেন মোঃ হারুন অর রশিদ; ৮নং ওয়ার্ডে জামানত হারিয়েছেন আশরাফ আহমেদ হারুন ও মোঃ আতাউর রহমান লিটন; ৯নং ওয়ার্ডে জামানত হারিয়েছেন মোঃ মাহবুবুর রহমান, আব্দুল জলিল, মোহাম্মদ আব্দুল শহীদ ও মোঃ সফিকুল ইসলাম। মহিলা কাউন্সিলর পদে জামানত হারিয়েছেন ১নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে পার্বতী রানী রায়, ২নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নাদিরা বেগম এবং ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে সৈয়দা জেবুন্নেছা ও ফিরোজা আক্তার ঝুমুর।
প্রসঙ্গত, হবিগঞ্জ পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে মোঃ আবুল হাসিমের প্রার্থীতা ঋণ খেলাপীর কারণে বাতিল হওয়ায় ওই ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামেন তাঁর ভাতিজা মোঃ ফরহাদ হোসেন টিটু। তিনি এলাকায় ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালান। পরবর্তীতে মোঃ আবুল হাসিম হাইকোর্টের মাধ্যমে তাঁর প্রার্থীতা ফিরে পান। ফলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান মোঃ ফরহাদ হোসেন টিটু। কিন্তু নির্বাচনী বিধান অনুযায়ী প্রার্থীতা প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় ফরহাদ হোসেন টিটু তাঁর প্রার্থীতা প্রত্যাহার করতে পারেননি।