বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন স্বামী ও শ্বশুর-শাশুড়ি
পিতা ও চাচার দাবি ‘যৌতুকের জন্য আকলিমাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে
বাহুবল প্রতিনিধি ॥ বাহুবলে আকলিমা আক্তার (২৫) নামে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতকাল রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৬টায় বাহুবল মডেল থানা পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেছে। নিহত গৃহবধূ উপজেলার পশ্চিম শাহাপুর প্রকাশিত চারগাঁও গ্রামের আকবর আলীর পুত্র রাসেল মিয়ার স্ত্রী। গৃহবধূর পিতা উপজেলার পূর্ব জয়পুর গ্রামের শেখ জমশেদ আলী ও চাচা সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান হাজী শেখ মোঃ ফিরোজ আলীর দাবি, ‘যৌতুকের জন্য আকলিমা আক্তারকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে তার স্বামী ও স্বামীর পরিবারের সদস্যরা’। পুলিশ বলছে, নিহতের গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত আকলিমা আক্তারের পিতা ও চাচা জানান, শনিবার দিবাগত মধ্যরাতে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারেন অন্তঃসত্ত্বা আকলিমা আক্তার অসুস্থ। ভোর ৫টার দিকে আকলিমা আক্তারের স্বামীর বাড়ি পশ্চিম শাহাপুর গ্রামে পৌঁছে ঘরের মেঝেতে চাদরে ঢাকা অবস্থায় মেয়ের নিথর দেহ তারা দেখতে পান। তারা সেখানে পৌঁছার আগেই আকলিমার স্বামী, শ্বশুর-শাশুড়িসহ পরিবারের লোকজন পালিয়ে যায়। তারা আরো জানান, তারা অন্তঃসত্ত্বা আকলিমা আক্তারের শারীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে বাহুবল মডেল থানার এসআই ইদ্রিছ আলীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহতের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যান।
নিহতের পিতা শেখ জমশেদ আলী ও চাচা মুক্তিযোদ্ধা হাজী শেখ মোঃ ফিরোজ আলী মিয়া বলেন, ২ বছর আগে আকলিমা আক্তারের বিয়ে হয় উপজেলার শাহাপুর প্রকাশিত চারগাঁও গ্রামের আকবর আলীর পুত্র রাসেল মিয়া (৩২)-এর সাথে। বিয়ের পর থেকে বর রাসেল মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা যৌতুকের জন্য শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসছিল। এ নিয়ে একাধিক সালিশ বিচার অনুষ্ঠিত হয়। তাদের দাবি, অন্তঃসত্ত্বা আকলিমা আক্তারকে যৌতুকের জন্যই পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, রবিবার ভোর বেলা উপজেলার পশ্চিম শাহাপুর গ্রাম থেকে অন্তঃসত্ত্বা মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার আগে এটি হত্যা না আত্মহত্যা বলা যাবে না।