৫০ হাজার ৯০৩ ভোটের মধ্যে কাস্টিং হয়েছে ২৯ হাজার ৬ ভোট ॥ ৫৬.৯৮% ভোট কাস্টিং
এসএম সুরুজ আলী ॥ অবশেষে সকল জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে হবিগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আতাউর রহমান সেলিম। তিনি নৌকা প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৩২২ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আওয়ামীলীগের বিদ্রোহী প্রার্থী বর্তমান মেয়র মিজানুর রহমান মিজান নারিকেল গাছ প্রতিক নিয়ে পেয়েছেন ১০ হাজার ৯৯০ ভোট। বিএনপি মনোনীত প্রার্থী এনামুল হক সেলিম ধানের শীষ নিয়ে পেয়েছেন ৩ হাজার ২৪২ ভোট, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত প্রার্থী মোঃ শামছুল হুদা হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৮৭৮ ভোট, স্বতন্ত্র প্রার্থী গাজী মোঃ পারভেজ হাছান জগ প্রতীকে পেয়েছেন ২৪৮ ভোট ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বশিরুল আলম কাওছার মোবাইল ফোন মার্কায় পেয়েছেন ২৩৬ ভোট।
নির্বাচিত কাউন্সিলরগণ হলেন- ১নং ওয়ার্ডে মোঃ আবুল হাসিম, ২নং ওয়ার্ডে মোঃ জাহির মিয়া, ৩নং ওয়ার্ডে পান্না কুমার শীল, ৪নং ওয়ার্ডে মোঃ জুনায়েদ মিয়া, ৫নং ওয়ার্ডে গৌতম কুমার রায়, ৬নং ওয়ার্ডে মোঃ টিপু আহমেদ, ৭নং ওয়ার্ডে মোঃ সালাহউদ্দিন আহাম্মদ টিটু, ৮নং ওয়ার্ডে আলাউদ্দিন কুদ্দুছ ও ৯নং ওয়ার্ডে মোঃ সফিকুর রহমান সিতু এবং সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে প্রিয়াঙ্কা সরকার, ২নং ওয়ার্ডে বেগম খালেদা জুয়েল এবং ৩নং ওয়ার্ডে শেখ সুমা জামান।
নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে কেন্দ্রগুলোতে ভোটাররা গিয়ে ভিড় জমান। তারা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
সকালে হবিগঞ্জ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গিয়ে পরিবার সহকারে ভোট প্রদান করেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামীগ সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির। ভোট দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ইভিএম এর মাধ্যমে স্বচ্ছভাবে ভোট গ্রহন করা হয়। এর মাধ্যমে কোন প্রকার অনিয়ম করা সম্ভব নয়। তিনি আগামীতে ইউনিয়ন পর্যায়ে নির্বাচনেও ইভিএম পদ্ধতিতে ভোট গ্রহনের দাবি জানান। একই কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা জানান, শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহন করা হয়েছে। কোথাও কোন প্রকার অনিয়মের ঘটনা ঘটেনি।
কঠোর নিরাপত্তায় শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে হবিগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন। গতকাল সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ভোট গ্রহণ। ভোট গ্রহণ শেষ হওয়ার পরই কেন্দ্র এলাকায় প্রার্থীদের কর্মী ও সমর্থকরা ফলাফল জানার জন্য ভিড় জমান। কেন্দ্রের ভিতরে থাকা এজেন্টদের মাধ্যমে সকলেই জেনে যান ফলাফল। সাথে সাথে বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থকরা উল্লাসে মেতে উঠেন।
রাত সাড়ে ৯টায় জেলা নির্বাচন অফিসের কন্ট্রোল রুমে আনুষ্ঠানিকভাবে ফলাফল ঘোষণা করেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ সাদেকুল ইসলাম। এ সময় তিনি জানান, অত্যন্ত শান্তিপূর্ণভাবে নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে ৫০ হাজার ৯০৩ ভোটের মধ্যে কাস্টিং হয়েছে ২৯ হাজার ৬ ভোট। এর ৯০টি ভোট বাতিল হয়েছে। শতকরা হারে ৫৬.৯৮% ভোট কাস্টিং হয়েছে। এর মধ্যে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামীলীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোঃ আতাউর রহমান সেলিম।