স্টাফ রিপোর্টার ॥ ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য লাখাই ও আজমিরীগঞ্জের সাথে ভৈরব এবং নবীগঞ্জ-বাহুবলের সাথে যোগাযোগ ছিল সিলেটের। হবিগঞ্জ জেলা শহরের উপর নির্ভরশীল ছিল শুধু বানিয়াচং উপজেলা। যে কারণে এ জেলা অন্যান্য অঞ্চলের তুলনায় পিছিয়ে ছিল। কিন্তু গেল প্রায় এক যুগে যুগোপযোগী উন্নয়নের কারণে হবিগঞ্জ এখন ব্যবসা-বাণিজ্যের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার নসরতপুরে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আগে হবিগঞ্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দারা এখানে আসতেন না। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভাল না থাকায় তারা চলে যেতেন ঢাকা, সিলেট ও ভৈরবে। কিন্তু গেল ১২ বছরে আমরা জেলা শহরের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। বৃন্দাবন সরকারি কলেজে অনার্স-মাস্টার্স, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ, আড়াইশ’ শয্যা আধুনিক জেলা সদর হাসপাতাল, ১০ তলা জুডিসিয়াল ভবন ও আধুনিক স্টেডিয়ামসহ ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। শায়েস্তাগঞ্জের ওলিপুর হয়েছে ইন্ডাস্ট্রিয়াল এরিয়া। ব্যাপকভাবে লেখাপড়া, ব্যবসা-বাণিজ্য, কর্মস্থলের প্রসার ঘটায় হবিগঞ্জ জেলার মানুষকে এখন অন্য জেলায় যেতে হয় না। বরং অন্যান্য অঞ্চলের মানুষ জীবিকা নির্বাহের জন্য এখানে আসছেন।
তিনি বলেন, শিগগিরই এখানে দৃশ্যমান হবে একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। আমার আরও অভাবনীয় বিভিন্ন উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে। এগুলো বাস্তবায়ন হলে সারাদেশে হবিগঞ্জ হবে একটি মডেল জেলা। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদেরকে যুগোপযোগী শিক্ষা প্রদানের জন্য প্রতিষ্ঠান সংশ্লিষ্টদের প্রতি দিক নির্দেশনা দিয়েছেন।
এর আগে এমপি আবু জাহির গতকাল রিচি ইউনিয়নের নছরতপুর গ্রামে আতর আলী ও সফিনা খাতুন মেমোরিয়াল একাডেমীর উদ্বোধন করেন এবং সেখানকার শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আব্দুর রহিম, জেলা যুবলীগের সহ সভাপতি মিজানুর রহমান শামীম, এলাকার মুরুব্বী বারিক সরদার, ইউপি সদস্য আব্দুল গনি সর্দার, সামছুল হক সর্দার, মস্তু মিয়া সর্দার প্রমুখ।
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com