মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ থেকে ॥ ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে নবীগঞ্জের ফুলতলী বাজার এলাকায় দুটি সিএনজি অটোরিকশা বাসের নিচে চাপা পড়ে মা-মেয়েসহ ৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ১০জন। সোমবার বিকেল ৪টার দিকে নবীগঞ্জ উপজেলার গজনাইপুর ইউনিয়নের ফুলতলী বাজারস্থ শাহ মুশকিল আহসান (র.) মাজারের কাছে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- গজনাইপুর ইউনিয়নের মুড়াউরা গ্রামের আবু তাহেরের স্ত্রী সামিরুন বেগম (২৮), তার দুই বছর বয়সী মেয়ে মারিয়া আক্তার, আবু তাহেরের ভাই আনু মিয়ার স্ত্রী হালিমা বেগম (২৫), সাতাইহাল গ্রামের নুরুল ইসলামের পুত্র অন্তর মিয়া (২২), সাতাইহাল (কাজীপাড়া) গ্রামের লিজা আক্তার (১৯), সাতাইহাল গাজীর মোকাম এলাকার মৃত ছুরুত আলীর পুত্র লিটন মিয়া (১৭), দেবপাড়া ইউনিয়নের লতিবপুর গ্রামের কিতাব আলী (৩০) ও অজ্ঞাত পুরুষ (৩৫)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্র জানায়, কুমিল্লা থেকে সিলেটগামী বিআরটিসি পরিবহনের যাত্রীবাহী বাস ঢাকা মেট্রো-(ব-১১-৫৫১৮) পরিবহনের বাসের সাথে আউশকান্দি হতে পানিউমদা গামী যাত্রীবাহী সিএনজি (হবিগঞ্জ-থ ১১-৬৭৭৭) ও অজ্ঞাত সিএনজিসহ দুটি সিএনজির ধাক্কা লাগে। এতে দুটি সিএনজি দুমড়ে-মুচড়ে গভীর খাদে পড়ে যায় এসময় বাসটিও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে সিএনজিকে চাপা দেয়। বাসের নিচে চাপা পড়ে সিএনজি অটোরিকশা কাদায় দেবে যায়। কাদার সাথে মিশে যায় সিএনজি অটোরিকশা। এতে ঘটনাস্থলেই ৮ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় বাসের যাত্রীসহ আহত হয়েছেন অন্তত ১০জন। নিহতদের লাশ কাদার নিচ থেকে টেনে বের করা হয়। আহতদের সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
খবর পেয়ে নবীগঞ্জ থানা, শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ, গোপলার বাজার তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ, নবীগঞ্জ ও শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটসহ স্থানীয় জনসাধারণ উদ্ধার কাজ শুরু করে। প্রায় দুই ঘটনার প্রচেষ্টায় ৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
শেরপুর হাইওয়ে পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এরশাদুল হক ভূইয়া দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।