“কৃষি উদ্যোক্তার খোঁজে”
আবুল কালাম আজাদ, চুনারুঘাট থেকে ॥ চুনারুঘাটে নতুন করে ফিরে আসছে সূর্য্যমূখী তেল চাষ, চাষ হচ্ছে মাল্টা ফলের। আসছে ড্রাগন ফলের চাষ। একই সাথে নতুন প্রজাতির কুল চাষও শুরু হয়েছে উপজেলায়। চাষ হচ্ছে নানা প্রজাতির আম ও লেবু বাগানের। কৃিষতে নতুন উদ্ভাবনী আর সাফল্যে এগিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। অনাবাদি জমি হচ্ছে আবাদ। দুফসলী জমি রূপান্তরিত হচ্ছে তিন ফসলে। উপজেলা কৃষি বিভাগের নানা উদ্যোগ, কর্মকর্তা কর্মচারীদের দিকনির্দেশনা, বিনামুল্যে সার বীজ বিতরণ ও প্রনোদনা প্রদানসহ নানা কারণেই চুনারুঘাটে এখন কৃষিতে এ সাফল্য অর্জন করছে। বিশেষ করে উপজেলা কৃষি র্কমর্কতা জালাল উদ্দিন সরকারের আন্তরিকতা আর দিনরাতের পরিশ্রমের ফসল চুনারুঘাটে কৃষকের সাফল্য। কৃষিতে এমন সাফল্যে উপজেলার কৃষকের স্বপ্ন দেখার আগ্রহ বাড়িয়ে দিচ্ছে। প্রতি বছর আবাদ হচ্ছে নতুন নতুন জাতের ফসলের। নানা ফসল আর ফলের আবাদের ফলে ভোক্তাদের চাহিদা পূরণ হচ্ছে। এতে অন্যান্য কৃষকরা উৎসাহিত হচ্ছে।
এ অবস্থায় কৃষকদের উৎসাহ দিতে কৃষি বিভাগ আয়োজন করে “কৃষি উদ্যোক্তার খোঁজে” এর আলোকে প্রচলিত কৃষির বাইরে গিয়ে কৃষিকে বাণিজ্যিকিকরণ, নতুন নতুন কৃষি প্রযুক্তির ফসল মাঠ পর্যায়ে বাস্তবায়ন এবং অপ্রচলিত ফলের বাগান স্থাপন ও বীজ উৎপাদনসহ দেশের জন্য নিরাপত্তা ও পুষ্টির চাহিদা পূরণে ভূমিকা পালনকারী সেরা বিশেষ ২৫ জন কৃষককে সম্মানিত করার প্রয়াস।
বৃহস্পতিবার তাদের সম্মাননা দেওয়া হয়। সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি তাদের হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন। বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ হল রুমে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর চুনারুঘাট এর উদ্যোগে এ সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান এর সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জালাল উদ্দীন সরকারের সঞ্চালনায় এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- সিলেট বিভাগীয় কমিশনার মশিউর রহমান, এনডিসি। বিশেষ অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) তারেক জাকারিয়া, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাশ, কৃষি বিভাগের জেলা উপ পরিচালক তমিজ উদ্দিন খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবিদা খাতুন, সহকারি কমিশনার মিল্টন চন্দ্র পাল, পৌর মেয়র নাজিম উদ্দিন, অফিসার ইনচার্জ আলী আশরাফ, কৃষি কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন সরকার, শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদ রানা, সমাজসেবা কর্মকর্তা বারিন্দ্র রায়।