নতুন করে ওসিসহ ৪ জন আক্রান্ত
চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ অগ্রহায়ণের শুরুতেই জেঁকে বসেছে শীত। সেই সাথে বাড়ছে দ্বিতীয় ধাপের প্রাণঘাতি করোনা। দিন মাস পর পুনরায় এক দুজন করে বাড়ছে করোনা রোগী। শুক্রবার নতুন করে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জসহ ৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এ অবস্থায় দ্বিতীয় ধাপের ঢেউ মোকাবেলায় হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে প্রশাসনের নেই কোন নজরদারী। মানুষজন আমলে নেয়নি সরকারের উদ্যোগ। মাস্ক না পরেই লোকজন ঘুরছে শহর হাট বাজারে।
শীত বাড়ার সাথে সাথে দেশের অন্যান্য এলাকার ন্যয় চুনারুঘাটেও করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসতে পারে বলে মনে করছে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ। তারা জানায় ইতোমধ্যে সর্দিজ্বর হাঁচি, কাশির রোগী বেড়ে গেছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। দীর্ঘ তিন মাস কেউ পরীক্ষা করতে না আসলেও এখন প্রতিদিনই ৫/৭ জন করে পরীক্ষা করাতে আসছেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। নতুন সনাক্তও হচ্ছে রোগী। এতে আংশকা করা হচ্ছে শীতে রোগী বাড়বে চুনারুঘাটে।
ইতোমধ্যে সরকারি ও বেসরকারি অফিস আদালতে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করেছে সরকার। মাস্ক না পরলে গ্রাহকদেরকে সেবা না দেয়ার নির্দেশনাও রয়েছে। অথচ উপজেলায় হাট বাজার ও শহর কিংবা গ্রামে মাস্ক পরার বিষয়টি কেউ আমলেই নিচ্ছে না। মাস্ক না পড়েই সবাই দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
সরেজমিনে দেখা গেছে- হাট-বাজারে, এমনকি অফিস আদালতেও মাস্ক ছাড়া যাওয়া আসা করছেন সবাই। হাটে বাজারে মাস্ক ছাড়াই চলছে বেচাকেনা। এছাড়া যানবাহনগুলোতেও মাস্ক ছাড়াই যাতায়াত করছে মানুষ।
বিগত মার্চ মাস থেকে দেশে করোনাভাইরাস হানা দিলে এর কয়েকমাস পর থেকে বেশিরভাগ মানুষই নিজেদের সেফটির জন্য মাস্ক ব্যবহার করতেন। ছিলো কঠোর নির্দেশনাও। কিন্তু কয়েক মাসের ব্যবধানে এখন মানুষের মাঝে একটা একঘেয়েমি ভাব চলে এসেছে। তাই মাস্কের ব্যবহার কমে গেছে বলে অনেকেই মনে করেন। এ অবস্থায় মানুষকে সচেতন করার উদ্যোগ যেমন নেই, তেমনি নেই কঠোর আইন প্রয়োগের বিষয়টি। যে কারণে মাস্কহীন দিব্যি ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অনেকেই মন্তব্য করছেন।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাশ বলেন, উপজেলার আইনশৃঙ্খলা মিটিংসহ সকল পর্যায়ের সভায় মাস্ক পড়ার বিষয়ে বলা হচ্ছে। আমরা মানুষকে সচেতন করার কাজগুলো করছি। তারপরও কেউ না মানলে আমরা দ্রুত এ বিষয়ে অভিযানে নামবো।