দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ পত্রিকার মুখোমুখি শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থী আতাউর রহমান মাসুক
‘নগর পিতা’ হিসেবে নয়, সেবক হয়ে কাজ করব ॥ জনগণকে দেওয়া ওয়াদা রক্ষা করব

 

মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ ক্ষমতার প্রতি কোন মোহ নেই। নেই অর্থ বিত্তের প্রতিও। প্রতিটি মুহূর্ত কাটে তাঁর মানুষের সেবা করে। জেলার এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে তিনি ছুটে যান মানুষের সেবায়। তিনি হলেন সালিশ বিচারক শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার মেয়র প্রার্থী মোঃ আতাউর রহমান মাসুক। ছাত্র জীবনে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে তার পথচলা শুরু হলেও বর্তমানে তিনি জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। তিনি একাধারে শায়েস্তাগঞ্জ দাউদনগর বাজার ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক, পাঁচ গ্রাম ঐক্য পরিষদ সভাপতি, শায়েস্তাগঞ্জ-ধর্মঘর রোড জীপ মালিক সমিতির সভাপতি, ট্রাক ও ট্যাংক লরী শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা শাখা এবং শায়েস্তাগঞ্জ পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের উপদেষ্টা, সিএনজি শায়েস্তাগঞ্জ-দেউন্দি রোড শাখার সভাপতিসহ নানা সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর পিতা মরহুম বদর উদ্দিন আহমেদ ছিলেন জেলা বাস মালিক সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক। ছিলেন তৎকালীন ইউপি মেম্বার। মা মরহুম আমিরুন্নেছা ছিলেন একজন আদর্শ গৃহিনী। তার বড় ভাই আজিজুর রহমান মাখন শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার পদে অত্যন্ত দক্ষতা ও সততার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। আর ছোট ভাই জালাল উদ্দিন মোহন শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা প্রতিষ্ঠার পর হতে অদ্যাবধি কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত হয়ে আসছেন। দায়িত্ব পালন করছেন প্যানেল মেয়রেরও। তাছাড়া তিনি সিএনজি শ্রমিক সমিতি হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ রোড শাখার সভাপতি এবং শায়েস্তাগঞ্জ পৌর যুবলীগের সভাপতি।
ব্যক্তিগত জীবনে আতাউর রহমান মাসুক ৫ সন্তানের জনক। তার স্ত্রী আমেনা বেগম গৃহিনী। তাদের ৪ ছেলে ও এক কন্যা সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে বিবাহিত এবং ব্যবসার সাথে জড়িত। পিতার পথ ধরে তিনিও আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। বর্তমানে তিনি শায়েস্তাগঞ্জ পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। দ্বিতীয় ছেলে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি। বর্তমানে তিনি মাস্টার্স অধ্যয়নরত। চতুর্থ ছেলে  শায়েস্তাগঞ্জ পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স অধ্যয়নরত। আর কন্যা ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
মোঃ আতাউর রহমান মাসুক ইতিপূর্বে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। এবারও তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এবার তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চাইবেন। তিনি আশাবাদী দল তাকে মূল্যায়ন করবে।
তিনি বলেন- ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবন শুরু করে জেল জুলুম খেটেছি। কিন্তু কখনো দলের বাইরে যাইনি। পরবর্তীতে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগে সম্পৃক্ত হই। দীর্ঘ ২৫ বছর সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দায়িত্ব পালন করেছি। তাই দল আমাকে মূল্যায়ন করবে।
আতাউর রহমান মাসুক মেয়র নির্বাচিত হলে শায়েস্তাগঞ্জকে একটি নান্দনিক পরিচ্ছন্ন বাসযোগ্য পৌরসভা করতে চান। তিনি বলেন, আমি জনগণের সেবক হয়ে কাজ করতে চাই। জনস্বার্থে পৌর এলাকার রাস্তাঘাট, ড্রেনসহ সার্বিক উন্নয়ন কর্মকান্ড ত্বরান্বিত করে একটি পরিচ্ছন্ন পরিবেশে বাসযোগ্য পৌরসভা করতে চাই। নগর পিতা হিসেবে নয়, সেবক হয়ে সাধ্য অনুযায়ী চেষ্টা করবো শায়েস্তাগঞ্জকে একটি মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলতে। অতীতে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা জনগণকে কথা দিয়ে কথা ঠিক রাখতে পারেননি। তিনি সব সময় চেষ্টা করবেন তার ওয়াদা ঠিক রাখতে। এজন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি অতীতের স্মৃতিচারণ করে বলেন, ১৯৯৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দাউদনগরস্থ কুটিরে এসেছেন। সেখানে তিনি পথসভা করেছেন। সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া ১৯ বার তাঁর বাড়িতে এসেছেন। সিনিয়র নেতৃবৃন্দের এ ভালবাসা তাঁর পথ চলার অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।