নবীগঞ্জ প্রতিনিধি ॥ করোনাকালীন সময়ে স্কুল বন্ধ থাকলেও বকেয়া বেতন এবং পরীক্ষার ফি’র জন্য অভিভাবকদের উপর চাপ সৃষ্টির অভিযোগ উঠেছে নবীগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে। বকেয়া বেতন না দিলে আসন্ন বার্ষিক পরীক্ষার উত্তরপত্র দেওয়া হবে না বলে স্কুল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন অনেক অভিভাবকরা। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি র.প উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের মধ্যে সরকারি নির্দশনা অমান্য করে বেতন ভাতা, পরীক্ষার ফি ও অনলাইন ক্লাসের বিল নেওয়া হচ্ছে। প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীর কাছে অনলাইন ক্লাসের জন্য ১০০ টাকা করে আদায় করা হচ্ছে, সাথে এক বছরের পূর্ণ বেতনও আদায় করা হচ্ছে। বেতন ভাতা ও অনলাইন ফি না দিলে বলা হচ্ছে পরীক্ষা দিতে পারবে না ছাত্র ছাত্রীরা। এনিয়ে অভিভাবকদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ সঞ্চার হয়েছে। এ বিষয়ে আউশকান্দি র.প.উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমান বলেন, এটা এডহক কমিটির সভাপতি আবুল ফজল সাহেবের সিদ্ধান্ত। আমি কিছু বলতে পারবো না। এডহক কমিটির সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল ফজল এর সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল কল রিসিভ করেননি।
এদিকে সরকার করোনাকালে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে শিক্ষা ফি (টিউশন ফি) আদায়ে চাপ না দিতে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হলেও উপজেলার অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এই সময়েও শিক্ষা ফি আদায় করছে, তাগাদাও দিচ্ছে। আবার কেউ আদায়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। আবার শিক্ষা ফি আদায় করতে না পারায় অনেক এমপিওভুক্ত ব্যতীত অন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা দিতে পারছে না। অভিভাবকেরাও আর্থিক সমস্যায় আছেন। এ জন্য বিদ্যমান পরিস্থিতিতে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর ও শিক্ষা বোর্ডের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থী ফি আদায়ে চাপ না দিতে প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু এ আদেশ অমান্য করে নবীগঞ্জ উপজেলার অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেতন ও পরীক্ষা ফি আদায় করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে হবিগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ রুহুল্লাহ জানান,আমরা ইতিমধ্যে কিছু অভিযোগ পেয়েছি, তাই খোঁজ খবর নিচ্ছি, মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়েছে, যাতে এই সময়ে বেতন বা ফি নেয়া না হয়। যদি কেউ নিয়ে থাকে তবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মহি উদ্দিন বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমার কাছে সরকারী কোন নির্দশনা এখনও আসেনি।