সুমন আহমেদ বিজয় ॥ হবিগঞ্জে একদিনে সর্বোচ্চ সংখ্যক সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণের অন্যান্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ সুদীপ্ত দাস।
গতকাল মঙ্গলবার হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক সুদীপ্ত দাস সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ১১টি মামলায় মোট ৪৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। মাঝে বিরতি নেন মাত্র ২০ মিনিট। মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে ধর্ষণ, ধর্ষণের চেষ্টা, অপহরণ, যৌতুক দাবি ইত্যাদি। সাক্ষ্য গ্রহণ করায় বিচারপ্রার্থীদের মধ্যে স্বস্থি দেখা দিয়েছে।
১১টি মামলার মধ্যে ৪টি মামলার সাক্ষীগণ ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানেন না এবং আসামীদের বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ করতে না পারায় বিজ্ঞ বিচারক ৪টি মামলার আসামীদের খালাস প্রদান করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষ্য গ্রহণে আদালতকে সহযোগিতা করেন হবিগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট আবুল হাসেম মোল্লা মাসুম ও এপিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান চৌধুরী তারন।
সরকারের নির্দেশনা মতে দ্রুত মামলা নিষ্পত্তির লক্ষ্যে বানিয়াচং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরান হোসেনের বরাবর প্রসেস ইস্যু করেন আদালত। প্রসেস ইস্যুর প্রেক্ষিতে ওসি মোহাম্মদ এমরান হোসেন ৬টি মামলার মোট ২৮ জন সাক্ষীকে আদালতে হাজির করেন।
প্রসঙ্গত, আদালতে সাক্ষ্য প্রদানে সাক্ষীদের মধ্যে একটা অনিহা কাজ করে বলে অভিযোগ রয়েছে। এর নানা কারণ রয়েছে। অনেক সময় ঝামেলা এড়াতেও সাক্ষীরা আদালতে আসতে চান না। এছাড়া জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে বিচারপ্রার্থীরা সাক্ষী নিয়ে আদালতে আসেন। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতার কারণে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করে অনেককেই বাড়ি ফিরে যেতে হয়। এতে একদিকে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয় অন্যদিকে ন্যায় বিচার বিলম্বিত হয়ে থাকে। এ কারণেই বিচারকগণ মামলার দীর্ঘসূত্রিতা কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, অল্প সময়ের মধ্যে সাক্ষী গ্রহণ করে বিচার প্রার্থীদের দুর্ভোগ কমানো হবে। বিচারক সুদীপ্ত দাস প্রতিদিনই সাক্ষীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করবেন বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।