স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং দেশ ও দেশের বাইরে অবস্থানরত দলীয় নেতাকর্মী ও শুভাকাক্সক্ষীসহ সর্বস্তরের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন হবিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহির। পাশাপাশি শতভাগ সুস্থ হয়ে তিনি যেন দ্রুত জনগণের কর্মকান্ডে যোগ দিতে পারেন সেজন্য সকলের নিকট দোয়া কামনা করেছেন।
সংসদ সদস্য আবু জাহির মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট লাখো কোটি শুকরিয়া আদায় করে বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাকে পরপর তিনবার নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন দিয়েছেন, গত কিছুদিন আগে আমি করোনায় আক্রান্ত হওয়ার সংবাদটি যখন উনি জানতে পারেন তখন দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য হেলিকপ্টার দিয়ে ঢাকায় এনে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি করিয়ে আমাকে উন্নত চিকিৎসা করান। এর পূর্বে ২০০৫ সনে গ্রেনেড হামলায় আমি যখন ক্ষতবিক্ষত ছিলাম তখনও তিনি আমাকে বিদেশে পাঠিয়ে উন্নত চিকিৎসা করান। এই কারণে আমি ও আমার পরিবার প্রধানমন্ত্রীর নিকট চিরঋণী। আমার নির্বাচনী এলাকার সকল মানুষের পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, হবিগঞ্জ, লাখাই ও শায়েস্তাগঞ্জবাসীর প্রতি আমি চিরকৃতজ্ঞ। তারা বার বার আমাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছেন। যতবারই বিপদের সম্মুখীন হয়েছি দলমত নির্বিশেষে আমার পাশে থেকেছেন। আমিও জনসেবাকে ইবাদত মনে করে সর্বোচ্চ শ্রম দিয়ে যাচ্ছি। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে দীর্ঘ আটটি মাস আপনাদের সাথে কাটিয়েছি। আপনাদেরকে সচেতন করেছি। অস্বচ্ছল ভাই-বোনদের দুয়ারে পৌঁছে দিয়েছি সরকারি ও সাধ্যমত ব্যক্তিগত সহায়তা। কিন্তু আমি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর আপনাদের যে ভালবাসা পেয়েছি তার তুলনায় আমার শ্রম অত্যন্ত নগন্য।
তিনি বলেন, আমি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর আওয়ামী লীগ ও সকল সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীসহ নানা শ্রেণী-পেশার মানুষ আমার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক, সামাজিক-সাংস্কৃতিক, পেশাজীবী সংগঠনসহ ব্যক্তিগত উদ্যোগে জেলাজুড়ে মিলাদ-দোয়া মাহফিল এবং প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে। দেশের বাইরেও দলীয় নেতাকর্মীদের পাশাপাশি প্রবাসী হবিগঞ্জবাসী দোয়ার আয়োজন করেছেন। আপনাদের সকলের দোয়ায়ই হয়তো মহান আল্লাহ রাব্বুল আল আমিন আমাকে ভাল রেখেছেন। সেজন্য আমি আপনাদের নিকট চির কৃতজ্ঞ। পাশাপাশি দ্রুত শতভাগ সুস্থ হয়ে যেন জনগণের কর্মকান্ডে নিজেকে নিয়োজিত করতে পারেন সেজন্য তিনি সকলের দোয়া কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, এমপি আবু জাহির করোনা ভাইরাস পরীক্ষার জন্য গত ২৫ অক্টোবর নমুনা দিলে পরদিন রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর এক রাত তিনি নিজ বাসভবনেই ছিলেন। পরদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে এমপি আবু জাহিরকে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেয়া হয়। এরপর ফলোআপ রিপোর্টে করোনা নেগেটিভ আসায় গত ৩ অক্টোবর তাঁকে সিএমএইচ থেকে ন্যাম ভবনের বাসায় স্থানান্তর করা হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই আইসোলেশনে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে আট মাস ধরে তিনি তার নির্বাচনী এলাকার সবাইকে সচেতন করার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন। দিনরাত ঘুরেছেন অদৃশ্য শত্রুর মোকাবিলায়। সাহস যোগাচ্ছিলেন সবাইকে। করোনায় আর্থিকভাবে ক্ষতির সম্মুখীন হওয়া মানুষদের বাড়ি বাড়ি সরকারি ও নিজের পক্ষ থেকে সহায়তাও পৌঁছে দিচ্ছিলেন।