স্টাফ রিপোর্টার ॥ শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশনে টিকেট বাণিজ্যসহ অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ ছাড়াও এই স্টেশনের পরিত্যক্ত ভবনে অনৈতিক কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। এ পরিস্থিতিতে প্রতিনিয়ত চরম হয়রানির শিকার হচ্ছেন এ স্টেশন দিয়ে চলাচলকারী ট্রেন যাত্রীগণ।
ভূক্তভোগী অনেক যাত্রী অভিযোগ করেন, শায়েস্তাগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন থেকে আন্তঃনগর ও লোকাল ট্রেনে প্রতিদিন ঢাকা-সিলেট ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করে থাকেন হাজারো যাত্রী। দীর্ঘদিন ধরে নানাভাবে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। দুর্ভোগের শিকার হয়ে যাত্রীরা স্টেশন মাস্টার সাইফুল ইসলামের কাছে নালিশ জানাতে গিয়ে তাকে খুঁজে পান না। স্টেশনটিতে রয়েছে বিশুদ্ধ খাবার পানির তীব্র সংকট। প্রায়ই বন্ধ থাকে ওয়েটিং রুম। স্টেশনটিতে সরকারি শৌচাগার থাকলেও তালাবদ্ধ থাকে সব সময়। এ অবস্থায় পাবলিক টয়লেটে লেগে থাকে উপচেপড়া ভিড়। অভিযোগ রয়েছে স্টেশন মাস্টার ইচ্ছাকৃতভাবেই ওয়েটিং রুম তালাবদ্ধ করে রাখেন। স্টেশনের স্থানে স্থানে স্তূপ করে রাখা ময়লা-আবর্জনার দুর্গন্ধ ও প্লাটফর্মের ভাঙা শেড দিয়ে পড়া বৃষ্টির পানিতে যাত্রীদের দুর্ভোগ অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। টিকেট কালোবাজারির বিষয়ে অভিযোগের তীর স্টেশন মাস্টারের দিকে। কিছু সিন্ডিকেট এর লোকজনের কাছ থেকে কালোবাজারে টিকেট কিনতে হলে প্রতিটি টিকেটে নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত ১শ’ থেকে ২শ’ টাকা বেশি দিতে হয়।
স্থানীয়রা জানান, জংশনটির পরিত্যক্ত জমিতে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। এসব পরিত্যক্ত ভবনে চলে অনৈতিক কার্যকলাপ। বিষয়টি জানলেও প্রতিরোধে কেন ব্যবস্থাই নিচ্ছেন না রেল কর্তৃপক্ষ।
এ ব্যাপারে স্টেশন মাস্টার সাইফুল ইসলাম জানান, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সত্য নয়। তাছাড়া হাই কমেডের টয়লেটে পানি না থাকায় তালাবদ্ধ রাখা হয়। ভিআইপি কেউ এলে টিকেট এর ব্যবস্থা করে দেই।