স্বপন বণিক, আজমিরীগঞ্জ থেকে ॥ হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পেলো এক কিশোরী। বাল্য বিবাহ আয়োজনের দায়ে কনে এবং বরের পিতাকে অর্থদন্ড প্রদান করা হয় এবং প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত কনেকে বিবাহ দিবেন না মর্মে মুচলেকা প্রদান করেন পিতা-মাতা।
২৮ সেপ্টেম্বর সোমবার দুপুরে সদর ইউনিয়নের বিরাট নোয়াআব্দা গ্রামে নুর মিয়ার কিশোরী কন্যার বাল্য বিবাহ আয়োজন করার দায়ে কিশোরীর কন্যার পিতা এবং বরের পিতাকে ভ্রাম্যমান আদালতে অভিযান চালিয়ে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড প্রদান করেন। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার দাস।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, বানিয়াচং উপজেলার বিথঙ্গল গ্রামের এক যুবকের সাথে আজমিরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বিরাট নোয়াআব্দা গ্রামের নুর মিয়ার নাবালিকা কন্যা (১৬) এর বিবাহের আয়োজন করা হয়। উভয় বাড়িতে শুরু হয় বিয়ের আয়োজন। বৃহস্পতিবার গায়ে হলুদ সম্পন্ন হয়। সোমবার দুপুরে বিবাহের প্রীতিভোজের আয়োজন করে কনেপক্ষ। এদিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) উত্তম কুমার দাস বিয়ে বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বাল্য বিবাহ বন্ধ করেন এবং কনে ও বরের পিতাকে ৫ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিবাহ না দেয়ার শর্তে মুচলেকা নেন।
উপজেলা সহকারি কমিশনার ভূমি উত্তম কুমার দাশ সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, কনে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়ায় বাল্য বিবাহ আইনে বাল্য বিবাহ বন্ধ করা হয়েছে। কনের পিতা এবং বরের পিতাকে অর্থদন্ড ও মুচলেকা রাখা হয়েছে। আইন অমান্য করে বাল্য বিবাহ দিলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলেও জানান তিনি।
অভিযানে আজমিরীগঞ্জ থানার এসআই জয়ন্ত কুমার তালুকদারের নেতৃত্বে একদল পুলিশ সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে।