মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ ভাঙ্গাচোরা রাস্তা, ড্রেনেজ ব্যবস্থা নাজুক, মুন্সি বাড়ির পাশের রাস্তার অবস্থা করুণ, মালদার বাড়ির পাশে এবং চরনুর আহমদ নূরানী জামে মসজিদের অজুখানার পানি নিষ্কাশনের জন্য সামান্য ড্রেনেজ ব্যবস্থা থাকলেও অনেক স্থানেই তা নেই। ফলে পৌরবাসীকে পোহাতে হয় দুর্ভোগ। এমন অভিযোগ শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডবাসীর। গতকাল বুধবার ওই ওয়ার্ডে সরেজমিনে গেলে ভূক্তভোগীরা বলেন- আমরা খুবই অবহেলিত। আমাদের ওয়ার্ডে ড্রেন-রাস্তার অবস্থা খুবই নাজুক। অন্য ওয়ার্ডে ময়লা আবর্জনার জন্য স্থানে স্থানে পৌরসভা ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করলেও এই ওয়ার্ডে কোন ডাস্টবিন নেই। নেই তেমন লাইটং সুবিধা। ফলে তাদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি যদি জনগণের সুবিধাকে প্রাধান্য দিতেন তাহলে তাদের এমন দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। তাই আগামী নির্বাচনে যিনিই জনরায়ে নির্বাচিত হন তিনি যেন সাধারণ ভোটারদের সুবিধাকে প্রাধান্য দেন, তাদের সুবিধা অসুবিধা বিবেচনায় নিয়ে সে অনুযায়ী এলাকার উন্নয়ন করেন এ দাবি ভূক্তভোগীদের।
এবারের নির্বাচনে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান কাউন্সিলর জালাল উদ্দিন মোহন, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর যুবলীগের সাবেক সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোঃ মামুন মিয়া, ৪নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নুনু মিয়া, ইমান উদ্দিন ও মুখলিছ মিয়া।
প্রসঙ্গত, আগামী ডিসেম্বর মাসে শায়েস্তাগঞ্জ পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এমন খবরে সম্ভাব্য মেয়র, কাউন্সিলর ও মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও স্বতন্ত্রসহ সম্ভাব্য মেয়র প্রার্থীরা মাঠে নেমে পড়েছেন। বসে নেই কাউন্সিলর প্রার্থীরাও। সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীরা করোনা ভাইরাসের কারণে প্রকাশ্যে সভা সমাবেশ করে বা কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালাতে না পারলেও তারা নিরবে নিভৃতে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচার প্রচারণা। সাধারণ ওয়ার্ডের সম্ভাব্য কাউন্সিলর প্রার্থীদের পাশাপাশি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের মহিলা কাউন্সিলর প্রার্থীরাও মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন।