চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ অপ্রতুল ত্রাণ নিয়ে বিপাকে পড়েছে চুনারুঘাট উপজেলার নি¤œ আয়ের মানুষ। যারা দিন আনে দিন খায়, ভবঘুরে, রিক্সাচালক, টমটম ও ঠেলাচালক থেকে শুরু করে নি¤œ আয়ের মানুষেরা সবচেয়ে বেশি বিপদে রযেছে। তবে প্রশাসন বলছে ত্রাণ আসছে, সবার ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে। ভয়ের কিছু নেই। আমরা তালিকা অনুযায়ী চাহিদা পাঠিয়েছি। দু’একদিনের মধ্যেই আমরা আরো ত্রাণ হাতে পাবো।
উপজেলায় আদিবাসী, চা শ্রমিক, মুনিপুরী, ৫টি আশ্রয়ন ও গুচ্ছগ্রামসহ বিভিন্ন ইউনিযনে বিপুল জনসংখ্যা দিনমজুর। তারা দিন আনে দিন খায়। তবে এদের সঠিক তালিকা প্রণয়ন চলছে। গত কয়েকদিন সবকিছু বন্ধ থাকায় এখন এরাই সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে। অনেকের ঘরে খাবার নেই। খাবারের জন্য চলে আসছে। গতকাল পৌর শহরের অনেকেই ত্রাণের জন্য ভিড় করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাশ তাদের বুঝিয়ে বাড়িতে পাঠান। তিনি বলেন, সবাই ঘরে থাকুন, আমরা প্রত্যেকের ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেব। আরো ত্রাণ আসছে, সবাই ত্রাণ পাবেন, কেউ না খেয়ে থাকবেন না।
উপজেলায় এ পর্যন্ত ১১ মেঃ টন চাল ও ১ লাখ ১০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন যারা সবচেয়ে বেশি অভাবী বা দিন আনে দিন খায় ও আশ্রয়ন ও গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা এবং নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্ঠী তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে এ পর্যন্ত ১১শ’ জনকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। আজকালের মধ্যেই আরো ত্রাণ আসছে, আমরা তালিকা অনুযায়ী সবার ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দেন।
এবিষয়ে উপজেলা নিবাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাশ জানান, এ দুর্যোগ অন্য যেকোন দুর্যোগের চেয়ে আলাদা। আমরা যারা একেবারেই খেতে পারছেনা যেমন, আদিবাসী, মুনিপুরী, আশ্রয়ন ও গ্রচ্ছগ্রাম, কলোনীকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রথমেই তাদের ঘরে ঘরে ত্রাণ পৌঁছে দিচ্ছি। পর্যায়ক্রমে দিনমজুর, রিক্সাচালক, টমটমচালক ও ঠেলাচালক কিংবা গরীরদের ঘরে ঘরে এ ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া হবে। এজন্য তিনি সকলকে ঘরে থাকার আহবান জানান।