আবুল কালাম আজাদ ॥ করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করতে সকলেই নিজ নিজ ঘরে অবস্থান করছেন। কিন্তু এতে করে দিন আনে দিন খায়, রিক্সাচালক কিংবা নিম্ন আয়ের মানুষেরা পড়েছেন বিপাকে। তারা দিনাতিপাত করছেন দুঃখ-দুর্দশায়। এ অবস্থায় রাতের আধারে অসহায়, খেটে খাওয়া আর আদিবাসীর ঘরে ঘরে গিয়ে ত্রাণ পৌঁছে দিলেন হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাশ। এসময় অসহায় পরিবারগুলো ঘুমিয়ে থাকলে তার ঘরের দরজায় ত্রানের বস্তা রেখে দেন। দরজাখুলে গরীব মানুষরা খুশিতে আত্মহারা হয়ে যায়। এভাবেই তিনি দুদিন ধরে ত্রিপুরাপল্লী, মনিপুরী গ্রাম, আশ্রয়ন প্রকল্প ও গুচ্ছগ্রামে ত্রাণ বিতরণ করছেন।
রবিবার সন্ধ্যার পরই তিনি ত্রাণ নিয়ে প্রথমে যান সাতছড়ি ত্রিপুরা পল্লীতে। সেখানে ঘরে ঘরে গিয়ে ২৪টি পরিবারের প্রত্যেকের হাতে পৌঁছে দেন ১০ কেজি চাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি ডাল, আধা লিটার তেল ও সাবান। এর পরই তিনি যান উপজেলা ছয়শ্রী মনিপুরী গ্রামে। সেখানে ১৫টি পরিবারে তুলে দেন খাবার। রাত ১১টার দিকে তিনি যান পৌর শহরের পীরেরবাজার আশ্রয়ন শিবিরে। সেখানে মানুষজন ঘুমিয়ে থাকায় ৫০টি পরিবারের ঘরের দরজায় রেখে আসেন খাবারের প্যাকেট। মুহুর্তেই একজন একজন করে সবাই পেয়ে যান দরজায় খাবার প্যাকেট। ঘরে খাবার পেয়ে সবাই খুশি। এভাবে রবিবার রাতে তিনি ১০০টি পরিবারে খাবার বিতরণ করেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাশ জানান, আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ মোতাবেক দিন আনে দিন খায় এমন পরিবার, ভবঘূরে, আশ্রয়ন ও নৃ-তাত্ত্বিক জনগোষ্টীকে অগ্রাধিকার নিয়ে ঘরে ঘরে গিয়ে খাবার দিচ্ছি। কারণ এখনই যাদের খাবার প্রয়োজন তাদেরকেই বেচেঁ বেচেঁ আমরা খাবার দিচ্ছি। আজ প্রথম ধাপের ত্রাণ বিতরণ শেষ হলো। আগামী কাল থেকে আশা করছি দ্বিতীয় ধাপের ত্রাণ দিতে পারবো।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্লাবন পাল জানান, প্রথম ধানে আমরা উপজেলার ৫শ পরিবারের প্রত্যেককে ১০ কেজি করে চাল, ২ কেজি আলু, এক কেজি ডাল ও তেল সাবান এবং ৬শ পরিবারের প্রত্যেককে ১০ কেজি করে চাল পৌঁছে দিয়েছি। দ্বিতীয় ধাপের চাহিদা পাঠিয়েছি। আশা করছি দু’একদিনের মধ্যে আমরা দ্বিতীয় ধাপের ত্রাণ সবার ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে পারবো। তিনি বলেন, আমরা তালিকা পেয়েছি। প্রত্যেক ইউনিয়নে এ ত্রাণ পৌঁছে দেব।