এফ আর হারিছ, বাহুবল থেকে ॥ বাহুবলে শত শত মানুষের দিনরাতের সব চেষ্টা ব্যর্থ করে চাষকরা চলতি বোরো ফসল অতিবৃষ্টির কারনে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। কিছু কিছু জমিতে গভীর নলকূপ দিয়ে বোরো জমিতে সেচের ব্যবস্থা করা হলেও এখন নিচ থেকে আর পানি উঠতেছে না। বাহুবলের কৃষকরা বলছেন, তাদের শেষ ভরসাও চলে গেলো। অনাবৃষ্টির কারণে সারা দেশেই বোরো ধান ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, এমন দুশ্চিন্তা কাজ করছে কৃষকদের মাজে।
সরেজমিনে বাহুবল উপজেলার স্নানঘাট ইউনিয়নের রওহাইল হাওর, স্নানঘাটের হাওর ও বাগদাইর হাওর এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, পানির অভাবে বোরো জমিগুলো শুকিয়ে ফেটে চৌছির হয়ে গেছে। অধিকাংশ জমিতে ধানে আঁশ চলে আসলেও পানির অভাবে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ধান গাছগুলো। সেখানের কৃষক নাইওর মিয়া, তোতা মিয়া ও ইজ্জত উল্লা সহ একাধীক কৃষক জানান, তারা এনজিও থেকে টাকা তোলে ও ধার- কর্জ করে বোরো চাষ করেছিলেন অনেক স্বপ্ন নিয়ে, কিন্তু সময়মত বৃষ্টি না হওয়ায় পানির অভাবে নষ্ট হয়ে যাবার উপক্রম তাদের বোরো জমিগুলো। এভাবে শত শত কৃষকের কয়েকশ’ একর বোরো জমিরই একই অবস্থা। একদিকে সারা দেশে করোনা ভাইরাসের কারনে ব্যবসা-বাণিজ্যে মারাত্মক ক্ষতি সাধন হয়ে যায়। এছাড়া হাওর এলাকার মানুষের বছরের একমাত্র ফসল বোরো অনাবৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়ে যাওয়ার চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ঐ অঞ্চলের মানুষেরা। দেশের অন্যান্য এলাকার কৃষকরাও এখন অনাবৃষ্টির কারণে বোরো ধান নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন।
অনাবৃষ্টির কারণে ধান গাছগুলো রোদের তাপে জ্বলে যাচ্ছে। আর কিছু ধানে ছত্রাক হয়েছে। সেগুলোর শীষে দানা নেই। এত টাকা খরচ করে বোরো জমি চাষ করলাম, কিন্তু এখন ২/৩ দিনের মধ্যে যদি বৃষ্টি না হয় তাহলে সব বোরো জমিগুলো রোদের প্রচন্ড তাপ ও পানির অভাবে নষ্ট যাবে, তখন আমাদের পথে বসা ছাড়া আর কোনো রাস্তা থাকবে না বলে হাহাকার করছেন বাহুবলের সকল বোরো চাষীরা।