মতিউর রহমান মুন্না, নবীগঞ্জ থেকে ॥ নবীগঞ্জে করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সচেতনতা সৃষ্টিতে ও সামাজিক দূরত্ব নিশ্চত করতে নবীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসন এবং সেনাবাহিনীর সমন্বয়ে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। রবিবার দিনব্যাপী নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিশ্বজিত কুমার পালের নেতৃত্বে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান পরিচালিত হয়। এতে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট আদনান ইসলাম এর নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর একটি দল টহল দেয় এবং মাইকিং করে জনগণকে বাড়িতে নিরাপদে থাকার ও অপরকে নিরাপদে রাখার পরামর্শ দেন। এ সময় অভিযানে সার্বিক সহযোগিতা করেন নবীগঞ্জ থানার ওসি আজিজুর রহমান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রশাসন কর্তৃক সব দোকানপাট বন্ধ ঘোষনার পর নবীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অধিকাংশ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। সব মিলিয়ে পুরো এলাকায় নীরব। রবিবার দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলার বাউশা, চৌধুরী বাজার, দেবপাড়া, রুস্তমপুর, গালিমপুর-মাধবপুরসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালায় উপজেলা প্রশাসন ও সেনাবাহিনী। কিছু এলাকায় সরকারী নির্দেশ অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে জরিমানা আদায় করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বজিত কুমার পাল। করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে এর আগেও টহল দিয়েছেন সেনা সদস্যরা। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে মানুষকে বাইরে না যেতে মাইকিং করে সতর্ক করা হয়। অনেক দোকান বন্ধ হওয়ায় দোকানদারদের নাম ঠিকানা নেয়া হয়েছে তাদেরকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে।
এ ব্যাপারে সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট আদনান ইসলাম জানান, করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে সেনাবাহিনী মাঠে কাজ করছেন। কোথাও যেন জনসমাগম না হয় সে বিষয়ে নজরদারি রাখতে নিয়মিত টহল অব্যাহত রয়েছে।
এ ব্যাপারে নবীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বজিত কুমার পাল বলেন, মানুষকে ঘরে রাখা নিশ্চিত করতে কঠোর অবস্থানে প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। ওষুধ ও নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া সকল প্রকার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। যারা সরকারী নির্দেশ অমান্য করে দোকান খোলা রাখে তাদের নিয়মিত অভিযান চালিয়ে জরিমানা করা হচ্ছে। বিদেশফেরত প্রবাসীদের হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে সার্বক্ষণিক নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে বলেও জানান ইউএনও।