চুনারুঘাট প্রতিনিধি ॥ চুনারুঘাটের রেমা চা বাগানে নতুন চা চাষ করাকে কেন্দ্র করে ৫ বাগান ব্যবস্থাপক ও সহকারি ব্যবস্থাপককে মারধোর ও অফিস এবং মোটরসাইকেল ভাংচুরের পর থেকে দুদিন ধরে বাগানে কাজ বন্ধ রয়েছে। বাগান ম্যানেজম্যান্টের কেউ ভয়ে বাগানে যেতে না পারায় অচল হয়ে পড়েছে বাগান। অরক্ষিত রয়েছে বাগানের মেশিনারিজসহ সকল সম্পদ।
এদিকে বাগান ব্যবস্থাপককে আশংকাজনক অবস্থায় গতকাল শনিবার ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। দুই সহকারি ব্যবস্থাপক হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। বাকীরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি গেলেও ভয়ে বাগানে যেতে পারছেন না। বাগানের জেনারেল ম্যানেজার ওয়াহেদ উদ্দিন শুক্রবার খবর পেয়ে চুনারুঘাট আসলেও ভয়ে বাগানে যাননি। তিনি অন্যত্র রাতযাপন করে পুনরায় ঢাকায় ফিরে গেছেন।
অপরদিকে দুদিন ধরেই বাগানে কাজ বন্ধ রয়েছে। বাগানের কোন ব্যবস্থাপক কিংবা ম্যানেজমেন্টের কেউ বাগানে যেতে না পারায় কার্যত অচল অবস্থায় আছে বাগান। বাগানোর কোন শ্রমিক কাজে যাচ্ছে না। তারা তাদের বাগানের পরিত্যক্ত জমিতে মাঠ দাবি করে তাতে নতুন চারা গাছ না লাগানোর দাবিতে অনড় আছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, উপজেলার রেমা চা বাগানে বড় মাঠের পাশে অপর একটি পরিত্যক্ত মাঠে সম্প্রতি বাগান কর্তৃপক্ষ চা গাছের চারা লাগানোর জন্য চাষ করতে গেলে শ্রমিকরা বাধা দেয়। এনিয়ে বাগান কর্তৃপক্ষ চুনারুঘাট থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করলে ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন চা শ্রমিকরা। এর জের ধরে শুক্রবার সকালে সকল ব্যবস্থাপক ও সুপারভাইজারকে বাগানের অফিসে আটক করে মারধোর করে শ্রমিকরা। এসময় তারা বাগানের অফিস ঘর, কম্পিউটারসহ বিভিন্ন যন্ত্রপাতি এবং ৫টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে।
খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাজমুল হকের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাদের উদ্ধার করে এবং বাগানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আশংকাজনক অবস্থায় বাগান ব্যবস্থাপক দিলীপ দাসকে গতকাল ঢাকায় প্রেরন করা হয়েছে। এছাড়া সহকারি ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম, সুমন আলী, আরিফ মিয়া, আলী রেজা ও বাগানের সুপার ভাইজার আব্দুল জলিলকে হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে ভর্তি করা হলে দুজন চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি গেছেন।