চুনারুঘাটে মুজিববর্ষের উন্নয়ন উৎসবে বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী

কেউ যাতে চিকিৎসার অভাবে মারা না যায় সেজন্য প্রধানমন্ত্রী নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন
আবুল কালাম আজাদ, চুনারুঘাট থেকে ॥ বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট মাহবুব আলী এমপি বলেছেন, বন্ধ হয়ে যাওয়া বাল্লা শায়েস্তাগঞ্জ রেল লাইন পুনরায় চালু করা হবে। এ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এ রেল লাইন বিশেষ ভূমিকা রাখবে। বাল্লা স্থলবন্দরের কাজ চলছে। এটি চালু হলে রেললাইনের গুরুত্ব আরো বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, দেশের সাথে তাল মিলিয়ে হবিগঞ্জের উন্নয়ন হবে, চুনারুঘাট মাধবপুরের উন্নয়ন হবে। তাই চুনারুঘাটের বিশেষ ইকনোমিক জোন বাস্তবায়ন হবে। তিনি বৃহস্পতিবার সকালে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নে মুজিববর্ষের উন্নয়ন উৎসবের উদ্বোধনী সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সামাজিক নিরাপত্তার আওতায় দেশের মানুষ নানা ধরনের ভাতা পাচ্ছে, ভূমিহীনদের ঘর দেওয়া হচ্ছে, জমি আছে ঘর নাই তাদের ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। দেশে এখন আর অভাব নেই, কেউ না খেয়ে মরে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০৪১ বাস্তবায়নে আমাদের সকলকে অংশীদার হতে হবে। স্বাস্থ্য শিক্ষা অন্ন বস্ত্র বাসস্থান নিশ্চিত করা গেলেই দেশ উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত হবে। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার জন্য দেশের প্রতিটি গ্রামে একটি করে কমিউনিটি ক্লিনিক তৈরি করা হচ্ছে। কেউ যাতে চিকিৎসার অভাবে মারা না যায়, সেজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নানা পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন।
উপজেলা প্রশাসন ও ইউনিয়নের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত উন্নয়ন উৎসবের উদ্বোধনী সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্ল্যা, উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল কাদির লস্কর, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাশ, ওসি শেখ নাজমুল হক ও ইউপি চেয়ারম্যান আবেদ হাসনাত চৌধুরী। এতে স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে একদিনের উন্নয়ন উৎসবে উপজেলা পরিষদের ১৭টি বিভাগ মেলায় তাদের স্ব স্ব বিভাগের সেবা দিয়েছে। ডিজিটাল সেবার আওতায় সহজে যাতে মানুষ হয়রানিমুক্ত সেবা পায় সেজন্য মানুষকে সচেতন করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে সকল ইউনিয়নে এ উন্নয়ন উৎসব অনুষ্ঠিত হবে।
উৎসবে সমাজসেবা বিভাগের মাধ্যমে ইউনিয়নের চা শ্রমিক ও নৃত্বাত্বিক জনগোষ্ঠীর দরিদ্র পরিবারে ও চা বাগানের শ্রমিকদের এককালীন ২ কোটি ৮০ লাখ টাকার অনুদান ও বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। দেওয়া হয়েছে ভূমিসেবা, স্বাস্থ্য সেবা, পুলিশ বিভাগের সেবা। তুলে ধরা হয়েছে ইউনিয়নে গত ১০ বছরের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ড।