হবিগঞ্জে প্রশাসনের অনুমতি না পেলেও সাদ পন্থীদের ইজতেমা আয়োজনের চেষ্টা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে পন্ড

স্টাফ রিপোর্টার ॥ হবিগঞ্জ শহরে মাওলানা সাদ পন্থীদের ঘোষিত ৩ দিনব্যাপী ‘জেলা ইজতেমা’র জন্য প্রশাসন অনুমতি না দিলেও তারা গভীর রাতে ইজতেমাস্থলে অবস্থান নিয়ে প্যান্ডেল নির্মাণের চেষ্টা করে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তাদের এই চেষ্টা পন্ড হয়ে যায়। পরে সাদ পন্থীরা চলে যায় হবিগঞ্জ সদর উপজেলার পাইকপাড়ায় আর বিরোধী পক্ষ অবস্থান নেয় হবিগঞ্জ শহরের মার্কাজ মসজিদে। বৃহস্পতিবার এ নিয়ে দিনভর উত্তেজনা থাকলেও পুলিশের হস্তক্ষেপে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার সুলতান মাহমুদপুর এলাকায় ২৭ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারি তিন দিনের জেলা ইজতেমার কর্মসূচি ঘোষণা করে সাদ পন্থিরা। তারা ইজতেমা আয়োজনে ছিল বন্ধপরিকর। অপরদিকে যে কোন মূল্যে ইজতেমা প্রতিহত করার ঘোষণা দেয় অপরপক্ষ। এ নিয়ে আন্দোলন ও পাল্টা আন্দোলন শুরু হয় সমগ্র জেলা জুড়ে। ইজতেমা নিয়ে দুই গ্রুপ মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়ালে জেলা প্রশাসন সাদ পন্থিদের ইজতেমার আবেদন খারিজ করে দেয়।
কিন্তু বুধবার দিবাগত রাত ১টার দিকে সাদ পন্থীদের শতাধিক মুসল্লী ইজতেমা স্থলে গিয়ে প্যান্ডেল তৈরির চেষ্টা করে। বিষয়টি হবিগঞ্জ সদর থানা পুলিশ জানতে পেরে সেখানে গিয়ে তাদেরকে আয়োজন থেকে সরিয়ে দেয়। সাদ পন্থীরা চলে যান পাইকপাড়া এলাকায়। সাদ পন্থীদের এই প্রচেষ্টার খবর জানতে পেরে হবিগঞ্জ জেলা বেফাক সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লা আকিলপুরীর নেতৃত্বে শত শত সাদ বিরোধী মুসল্লী হবিগঞ্জ মার্কাজ মসজিদে অবস্থান নেয়। এ নিয়ে চলতে থাকে দিনভর উত্তেজনা। তবে শেষ পর্যন্ত পুলিশের তৎপরতার জন্য কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এ ব্যাপারে হবিগঞ্জ জেলা বেফাক সভাপতি মাওলানা আব্দুল্লা আকিলপুরী প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘স্ব-ঘোষিত আমীর মাওলানা সাদ দীর্ঘদিন ধরে তাবলীগ জামায়াত ও বিশ্ব ইজতেমায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপতৎপরতা করছেন। এরই মাঝে তার অনুসারীরা হবিগঞ্জে বিতর্কিত ইজতেমা আয়োজনের ঘোষণা দিয়ে অনাকাক্সিক্ষত পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছিল। জেলা প্রশাসন তাদের ইজতেমা আয়োজনের আবেদন খারিজ করার পরও তারা যে চেষ্টা করেছে তা নিন্দনীয়। তারা দেশের আইনকেও অমান্য করার দুঃসাহস দেখিয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর থানার ওসি মোঃ মাসুক আলী জানান, বুধবার দিবাগত গভীর রাতে একদল মুসল্লী সুলতান মাহমুদপুর এলাকায় ইজতেমাস্থলে অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দেয়। পুলিশ তৎপর থাকায় কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।