আজ শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) বীর মুক্তিযোদ্ধা ও ভাষাসৈনিক কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরীর ৩০তম মৃত্যুবার্ষিকী। এ উপলক্ষে হবিগঞ্জ জেলা মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর ও কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী পাঠাগারের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। এসব কর্মসূচিতে আগ্রহীদের উপস্থিত থাকার জন্য আয়োজকদের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
আয়োজক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার মরহুমের কবর জিয়ারতের পাশাপাশি তাঁর মেয়ের (সাবেক সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী) হবিগঞ্জ শহরের মাস্টার কোয়ার্টারের বাসভবনে কোরআন খতম হবে। পরদিন শনিবার মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনায় আসর হতে মাগরিব পর্যন্ত পবিত্র কোরআন পাঠ ও মিলাদ মাহফিল হবে। এ ছাড়া একইদিন শীতার্তদের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ ও বিকেলে শিশু পল্লির ৮০ জন এতিম শিশুর মধ্যে খাবার বিতরণ করা হবে।
উল্লেখ্য, কমান্ড্যান্ট মানিক চৌধুরী ১৯৩৩ সালের ১০ ডিসেম্বর হবিগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন। ভাষা আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের সংগঠিত করতে গিয়ে প্রথম কারাবন্দী জন। ১৯৬৯ সালে গণঅভ্যুত্থানে সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য তিনি কারাভোগ করেন। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে চুনারুঘাট-বাহুবল-শ্রীমঙ্গল আসন থেকে তদানীন্তন জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। ১৯৭৩ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে হবিগঞ্জের মাধবপুর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্বও পালন করেন। কৃষিক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মানিক চৌধুরী ১৯৭৪ সালে ‘বঙ্গবন্ধু কৃষি পদক’ অর্জন করেন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কর্তৃক হবিগঞ্জের গভর্ণর নির্বাচিত হন। ওই বছরের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে হত্যার প্রতিবাদে তৃণমূল থেকে প্রথম সোচ্চার হন এবং জিয়াউর রহমান ও খন্দকার মোশতাক আহমেদের অবৈধ সরকারের আমলে তিনি তিন বছর কারাভোগ করেন। ১৯৯১ সালের ১০ জানুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়। ২০১৫ সালে তিনি গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক স্বাধীনতা পুরস্কারে (মরণোত্তর) ভূষিত হন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি