আগামী ১৫ জানুয়ারির পর থেকে হবিগঞ্জে অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তাছাড়া অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে হবিগঞ্জে গড়ে উঠা শিল্পকারখানার বিরুদ্ধেও অভিযান পরিচালনা করা হবে

মঈন উদ্দিন আহমেদ ॥ আগামী ১৭ মার্চ থেকে শুরু হবে মুজিববর্ষ। আজ থেকে শুরু হবে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা। ২০২০ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী যথাযোগ্য মর্যাদায় উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আজ ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে নানা কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকায় জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা কর্মসুচির উদ্বোধন করবেন। জাতীয় কর্মসূচির সাথে সঙ্গতি রেখে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে জেলা উপজেলা পর্যায়েও দিবসটি পালন করা হবে। ইতোমধ্যে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার মেশিন স্থাপন করা হয়েছে। এতে জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সরাসরি বড় পর্দায় প্রদর্শন করা হবে। জেলা প্রশাসনের সকল কর্মসূচি যাতে সঠিকভাবে মিডিয়ায় প্রচার হয় সেজন্য প্রেস কনফারেন্সের আয়োজন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত প্রেস কনফারেন্সে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামরুল হাসান এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা কর্মসুচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হবিগঞ্জে ৫ সহ¯্রাধিক লোকের সমাগম হবে বলে আশা করা যায়। তিনি আরও আশা প্রকাশ করেন উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বীর মুক্তিযোদ্ধা, সরকারি কর্মকর্তা, প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত থাকবেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান সফল করতে তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
তিনি জানান, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ২০টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশ নেবে। বিকেল ৩টা থেকে নিমতলা কালেক্টরেট প্রাঙ্গণে গণজমায়েত শুরু হবে। মূল অনুষ্ঠান হবে বিকেল সাড়ে ৪টায়।
তিনি বলেন, তাঁর পরিকল্পনা আছে বছরে অন্তত ১৫০ দিন বিভিন্ন স্কুল পরিদর্শন করা। ইতোমধ্যে তিনি পরিদর্শন কার্যক্রম শুরু করেছেন। তিনি যে স্কুল পরিদর্শন করেছেন সে স্কুলেই জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১টি করে বল উপহার দেয়া হয়েছে। তিনি আশ্বস্থ করেন এই বল সরকারি নয়। তিনি যে স্কুল পরিদর্শনে যান ওই স্কুলে শিক্ষকরা উপস্থিত আছেন কি না তা প্রত্যক্ষ করেন। ক্লাসে গিয়ে ছাত্রদের সাথে কথা বলেন। কোন বিদ্যালয়ে শিক্ষক অনুপস্থিত হলে জেলা ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি অবহিত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু ছিলেন খেলাপ্রিয় মানুষ। তিনি নিজেও একজন প্লেয়ার ছিলেন। তাই মুজববর্ষকে সামনে রেখে হবিগঞ্জে ১শ’ ফুটবলার, ক্রিকেটার, হ্যান্ডবল ও ব্যাডমিন্টন প্লেয়ার তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছেন তিনি। সেই লক্ষে কাজও শুরু করেছেন।
পরিশেষে তিনি বলেন, আগামী ১৫ জানুয়ারির পর থেকে হবিগঞ্জে অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে। ইতোমধ্যে তালিকা তৈরির কাজ চলছে। তাছাড়া অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে হবিগঞ্জে গড়ে উঠা শিল্পকারখানার বিরুদ্ধেও অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ ব্যাপারে তিনি শিল্পকারখানার মালিকদের সাথে কথা বলেছেন।
জেলা প্রশাসক জানান, সম্প্রতি মুজিববর্ষ উপলক্ষে হবিগঞ্জে অনুষ্ঠিত ‘বঙ্গবন্ধুকে জানো’ বই মেলায় সারা দেশে হবিগঞ্জ ২য় স্থান অর্জন করেছে। তিনি দাবি করেন, হয়তো কোন জায়গায় ভুল হয়েছে। না হলে হবিগঞ্জ প্রথম হওয়ার কথা। প্রেস কনফারেন্সে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ, হবিগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি মোঃ ইসমাইল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক সায়েদুজ্জামান জাহিরসহ হবিগঞ্জে কর্মরত বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।