মোহাম্মদ আলী মমিন ॥ সরকার হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ চার লেন সড়ক নির্মাণের লক্ষ্যে কামড়াপুর-বগলাবাজার হতে ধুলিয়াখাল পর্যন্ত ৭ কিলোমিটারের ৯৭ একর রেলভূমি থেকে সকল অবৈধ স্থাপনার ৯৫ শতাংশ উচ্ছেদ করা হয়েছে। বাকী অবৈধ স্থাপনা ৭ দিনের মধ্যে গুড়িয়ে দেয়া হবে।
হবিগঞ্জের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মোঃ আবু জাহিরের প্রত্যাশা বাস্তবায়নে সড়ক ও জনপথ বিভাগের মালিকানাধীন রেলভূমিতে চলমান সড়ককে চার লেনে উন্নীতকরণের কার্যক্রম শুরু করা হয়। বাস্তবে সরকার প্রধানের মাঠ প্রতিনিধি, হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবীর মুরাদ জেলা শহরকে উন্নয়নের মহাসড়কে যুক্ত করার প্রকল্পে ভূমির উপর অবৈধ স্থাপনা অপসারণে দৃঢ় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নোটিশে অধিকাংশ স্থাপনা নিজেরাই সরিয়ে নিয়েছেন। বিগত ৩ সপ্তাহ একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একদল পুলিশের সহায়তায় সড়ক বিভাগের কর্মচারীরা সকল স্থায়ী অবকাঠামো গুড়িয়ে দিয়েছে। গতকাল হবিগঞ্জ কালিগাছতলা-ধুলিয়াখাল পর্যন্ত বাইপাস সড়কে দৃশ্যমান হয়েছে রেলভূমি যেন যুদ্ধ বিধ্বস্ত এলাকা। বাস্তবে সড়কের ১ কিলোমিটারে ৩টি, ২য় কিলোমিটারে ১টি, বাসস্ট্যান্ডে ৩টি, ২নং পুলের নিকট ২টি, পেট্রল পাম্পের ১টি অবৈধ স্থাপনা অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। গতকাল উচ্ছেদে দায়িত্বরত সড়ক বিভাগের এসডিই কাজী নজরুল ইসলাম ও সার্ভেয়ার আব্দুল করিম জানান, আগামী ৭ দিনের মধ্যেই বাতিরপুর, বগলাবাজার, গরুর বাজার ও অন্যান্য অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়া হবে। তারা জানান, রেলভূমি ব্যক্তির নিকট বিক্রয়ের কোন বিধান নেই। সড়ক বিভাগে হস্তান্তরিত সকল প্রকার অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দেয়ার জন্য উচ্চ পর্যায় থেকে কঠোর নির্দেশনা রয়েছে।
হবিগঞ্জ-শায়েস্তাগঞ্জ প্রস্তাবিত চার লেন সড়কের ভূমি থেকে ৯৫ শতাংশ অবৈধ স্থাপনা অপসারণ
© স্বত্ব দৈনিক হবিগঞ্জের মুখ ২০১৯
ওয়েবসাইটটি তৈরী করেছে ThemesBazar.Com